অবাধে পাখি নিধন করে প্রকাশ্যে বিক্রি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২০; সময়: ৮:০১ অপরাহ্ণ |
অবাধে পাখি নিধন করে প্রকাশ্যে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, আদমদীঘি : বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের হলুদঘর মহল্লায় বৃহৎ তেঁতুলগাছে বর্ষা মৌসুমে আশ্রয় নেয় বক, পানকৌড়ি, রাতচোরাসহ বেশ কিছু প্রজাতির পাখি। শীত মৌসুম এলে এসব পাখি চলে যায় অন্যত্র।

এমন ধারাবাহিকতায় এবছরও ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে এসব পাখি। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে হলুদঘর মহল্লা। কিন্তু গাছ সংলগ্ন বাড়ীর মালিক সাদ্দাম হোসেন ও ইলিয়াছ আলী গত কয়েক বছর ধরে কৌশলে এসব পাখি নিধন করে পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেন মহল্লাবাসী।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণি রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দন্ডের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না।

ওই মহল্লার নাছিম, শাওন, রিংকু ও সনিসহ বেশ কয়েকজন যুবক জানান, এঁরা ক্ষমতাসীন হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় তারা আকাশ থেকে বৃষ্টি নামার সময় বেশ কিছু পানকৌড়ি গাছ থেকে নামিয়ে ওই মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। এসময় তারা বাঁধা দিতে গেলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি তারা স্থানিয় ফাঁড়ি পুলিশকে অবগত করেন। পাখি শিকার করা আইনত নিষিদ্ধ হলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

জানতে চাইলে পাখি নিধনকারী সাদ্দাম হোসেন ও ইলিয়াছ আলী বলেন, গাছে প্রচুর পরিমানে পাখি এসে বসে। এতে সবসময় কিচিরমিচির লেগেই থাকে। পাখির নড়াচড়ায় গাছের ছোট মরা ডালগুলো ও মল ‘গু’ পড়ে বাড়ির চালের টিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একারনে পাখিগুলো ধরে বিক্রি করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন জানান, বন্যপ্রাণী আইনে পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে