শিবগঞ্জে পানিবন্দী ৩’শ পরিবার, তলিয়ে গেছে ফসলী জমি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০; সময়: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ |
শিবগঞ্জে পানিবন্দী ৩’শ পরিবার, তলিয়ে গেছে ফসলী জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে বর্ষায় ও পানি নিষ্কাশনে কালভার্টের দুই পাশ বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৩’শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ধান, মাসকলাই, বেগুনসহ ফসলী জমি।

সোমবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর মকিমপুর, মাইটাল, ঢালিয়াপাড়া ও দারিগাছী গ্রামে বর্ষার পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার। ফলে ছোট ছেলে-মেয়ে ও গরু-বাছুর নিয়ে অন্যের জায়গায় বসবাস করছে। এমনকি রান্নাবান্না করে দু’মুঠো ভাত খেতে পারছেন না তারা। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়ে ওইসব গ্রামে।

এদিকে উত্তর মকিমপুর গ্রামের একটি মাত্র সরকারি কালভার্টের দুই পাশ বন্ধ করে দেয়ায় এমন দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। পানিবন্দীরা জানায়, গত দুই মাস থেকে অতি বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে বাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে যায়। ফলে ছেলে-মেয়ে ও গবাদীপশু নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। বর্তমানে অন্যের বসতবাড়ি ও রাস্তায় রান্নাবান্না করে দিন পার করছেন।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকরা জানায়, উত্তর মকিমপুর মাইঠাল মাঠের প্রায় ৬০ বিঘা ধান ও দারিগাছা গ্রামের ভুরকনদা বিলে প্রায় ৭০ বিঘা ধান তলিয়ে গেছে। এছাড়া ওই দুটি বিলে মাসকলাই, ভুট্টা, বেগুন, কলা, সবজিসহ আবাদী ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলার পরও দেখতে এমনকি খোঁজখবর নিতে আসেননি।

অপরদিকে পুকুরের লীজ গ্রহীতা বাবুল আলী জানায়, গত চার বছর ধরে ৫টি পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পুকুরের মাছগুলো ভেসে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়ে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে কালভার্টের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক এমাজুল ইসলাম বলেন, কালভার্টের আশেপাশের জমির মালিকগুলোর সমন্বয়ে মাটিগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সারা দেয়নি। দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, কালভার্টের দুই দিক মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে এলাকার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কালভার্টের পাশের মালিককে একাধিকবার বলার পর কর্নপাত করেননি।

এ বিষয়ে জানতে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে