জানা গেল সেই ৬ ধর্ষকের পরিচয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০; সময়: ২:৪৩ অপরাহ্ণ |
জানা গেল সেই ৬ ধর্ষকের পরিচয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার সকালে তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষকদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

তারা হলেন, এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। তারা প্রত্যেকেই ধর্ষণ মামলার আসামি।

এদের মধ্যে সাইফুর রহমানের সিলেটের বালাগঞ্জে, মাহবুবুর রহমান রনির বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়, অর্জুন লস্করের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে। তারা তিনজনই এমসি কলেজের ছাত্র। এদের মধ্যে রনি এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

এছাড়া রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেটের সদর উপজেলায় ও তারেকের বাড়ি সুনাগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়।

অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে গণধর্ষণের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছ তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ওসি কাইয়ুম চৌধুরী।

তিনি বলেন, রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গতকাল শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার কলেজটির ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। একপর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এ সময় ৬/৭ জন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

  • 10
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে