বাগাতিপাড়ার প্রধান সড়কে খানাখন্দ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০; সময়: ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ |
বাগাতিপাড়ার প্রধান সড়কে খানাখন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা সদরের পৌর এলাকার প্রধান ও জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কটিতে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও পৌরসভা ও এলজিইডি সহ উপজেলা প্রশাসনের নজর পড়ছেনা। অথচ প্রতিদিনই মেয়র, প্রকৌশলী সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই পথ হয়েই দপ্তরে যেতে হয়। সড়কটি পৌরসভার হলেও পৌর মেয়র এর দায় নিতে রাজি নন। গত প্রায় ৮/৯ মাস ধরে নাকাল হতে হচ্ছে খোদ সংশ্লিদের। ভোগান্তি সহ অসহনীয় দুভোর্গ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন চালক ও পথচারীসহ পৌরবাসীদের।

বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরের পৌর এলাকার মালঞ্চি বাজার থেকে বিহারকোল মোড় হয়ে তমালতলা সড়কটিতে পানি জমে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। নাটোর থেকে বিহারকোল বাজার হয়ে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার প্রধান এবং একমাত্র সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগী সহ শত শত মানুষ চলাচল করে। প্রসুতি মায়েদেরও এই সড়ক দিয়েই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয়। ৮ থেকে ৯ মাস ধরে খানাখন্দের মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন সহ পৌরবাসীদের। এই পথে চলতে গিয়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনাসহ ছোট ও হালকা যানবাহন প্রায় বিকল হয়ে যায়। মেরামত করতে যানবাহন চালক ও মালিকদের সারা দিনের উপর্জিত অর্থ ব্যয় করতে হয়।

পৌরবাসীদের অভিযোগ,বর্তমান পৌর মেয়র একবার নির্বাচিত হয়ে গত ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন অথচ এই সড়কের দিকে তার নজর নেই। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবী সকলের।

পথচারী রুহুল আমিন সরকার বলেন, তাকে ব্যবসায়ীক কাজে প্রতিদিনই মালঞ্চি বাজারে আসতে হয়। সড়কের যে অবস্থা মোটর সাইকেল নিয়ে চলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অধিকাংশ দিনই কাদা পানি শরীরে আছড়ে পড়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়। এছাড়া মোটর সাইকেল নিয়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কের ধারে পানি নিস্কাসনের ড্রেন বা কোন ব্যবস্থা না থাকায় যেখানে সেখানে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারনের দুভোর্গ বেড়েছে। সড়কটির দায়িত্ব পৌর কতৃপক্ষের হলেও তারা সংস্কার না করায় কয়েক মাস ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। এলজিইডির পক্ষ থেকে খানাখন্দে ইটের খোয়া ফেলে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হচ্ছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, এই সড়কের দায়িত্ব পৌরসভার হলেও সকলের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তবে সড়কে খানা খন্দ সৃষ্টি হওয়ার জন্য সড়কের ধারে বসবাসকারী পৌরবাসীদের দোষারোপ করে তিনি বলেন বাসাবাড়ির পানিও সড়কে প্রবেশ করায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। শুধু পৌর এলাকায় নয় গোটা উপজেলায় পানি নিস্কাসনের সমন্বিত প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। জনগুরুত্বপুর্ন সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য এলজিইডিকে বলা হয়েছে।

বাগাতিপাড়া পৌরসভা মোশারফ হোসেন এই সড়কটি রক্ষনা বেক্ষনের দায় পৌরসভার নয় বলে দাবী করে বলেন, সংস্কারের জন্য বিপুল অংকের যে অর্থের প্রয়োজন তা পৌরসভার জন্য অনুমোদনযোগ্য নয়। তবে সরকার চাইলে এবং অর্থ বরাদ্দ করলে পৌরসভা এই সড়কটি সংস্কারের উদ্দোগ নিবে। তবে সড়কটির দু’পাড়ে পানি নিস্কাসনের ড্রেন নির্মাণ সহ সংস্কারের জন্য অনুমতি ও অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

  • 3
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে