কুষ্টিয়ায় নিহত এমপির ফুফাতো ভাই হাসিনুরের শোক সভা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০; সময়: ১:৩৮ অপরাহ্ণ |
কুষ্টিয়ায় নিহত এমপির ফুফাতো ভাই হাসিনুরের শোক সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত সাংসদের ফুফাতো ভাই হাসিনুর রহমানের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ শোক সভা হয়।

দৌলতপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মোহনের সভাপতিত্বে শোক সভায় হাসিনুরের মামাতো ভাই স্থানীয় সংসদ আ কা ম সরোয়ার জাহান বাদশা বলেন, এই হত্যাকান্ড কোন সাধারণ হত্যাকান্ড নয়। এই হত্যাকান্ডের পরপরই অপপ্রচার চালানো হয়েছে মাছওয়ালা মজিবর রহমানের ছেলে আনোয়ার হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকান্ড। কিন্তু এটা অপপ্রচার, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। এটা একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। তিনি হাসিনুর রহমান হত্যার মদদদাতা ও রাজনৈতিক পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কির আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনালী খাতুন আলেয়া, দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, দৌলতপুর কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরকার আমিরুল ইসলাম, দৌলতপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার আতিয়ার রহমান আতিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ওরুশ কবিরাজ, যুবলীগ নেতা ওয়াসিম কবিরাজসহ অওয়ামী লীগ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

গত ২৯ আগষ্ট একই এলাকার চা দোকানি মজিবর রহমান বয়াতি রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হাসিনুরকে। খবর পেয়ে পুলিশ মজিবরকে নিজ বাড়িতে আটক করে। পরে মজিবর কুষ্টিয়ার আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

জবানবন্দীতে তিনি বলেন, তার ছেলেকে ২০১৯ সালের কোরবানীর ঈদের সন্ধ্যায় হত্যা করে হাসিনুরের ক্যাডার আন্টু মেম্বর ও তার সহযোগিরা। ওই মামলায় মজিবর আন্টু ম্বেরকে আসামী করে এজাহার দিলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়। তবে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র থেকে আন্টু মেম্বরের নাম বাদ দেয়। মজিবর জবানবন্দীতে দাবি করেন, এমপির ভাই হাসিনুরের প্রভাবেই পুলিশ আন্টু মেম্বরের নাম বাদ দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া ওই মামলা আপস মিমাংসা করে নেয়ার জন্যও তাকে হাসিনুর চাপ দেন বলেও মজিবর অভিযোগ করেন।

  • 44
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে