মান্দায় ইউডিসি উদ্যোক্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২০; সময়: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ |
মান্দায় ইউডিসি উদ্যোক্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আতিকুর রহমান ওরফে আতিককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু সাঈদ সেলিমের বিরুদ্ধে গত সোমবার ইউএনওসহ মান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান জানান, ‘গত ২০ আগস্ট বিকেলে আমি অফিস থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে শ্যামপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে পৌঁছলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শিক্ষক আবু সাঈদ সেলিম ৩-৪জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমার পথরোধ করে। এরপর তারা মোটরসাইকেল থেকে আমাকে নামিয়ে মারপিটসহ প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে শিক্ষক সেলিমসহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা সটকে পড়েন।’

তিনি আরও জানান,‘২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজানোকে কেন্দ্র করে শিক্ষক সেলিম আমার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত করেন তিনি। ভুক্তভোগী আতিক আরও বলেন, শিক্ষক সেলিম এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় বিভিন্ন অপরাধকর্ম করলেও বারবার পার পেয়ে যান। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই বিভিন্নভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। এসব ভয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস করেন না। একই কারণে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও ন্যায় বিচার থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি।’

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিধবা নারীর সম্পত্তি জবরদখল, মামাতো ভাই ও প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি দখল, যাতায়াতের রাস্তা বন্ধসহ গ্রামে মারামারি ও বিভিন্ন কোন্দল সৃষ্টি করে চলেছেন শিক্ষক সেলিম। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। শিক্ষক সেলিমের ক্ষমতার দাপটে অভিযোগকারীরা নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু সাঈদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘আমি কারও সম্পত্তি জবরদখল করিনি। কারও সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব নেই কিংবা মারপিটের ঘটনাও ঘটেনি।’ মান্দা থানার পরিদর্শক তদন্ত তারেকুর রহমান সরকার জানান, ‘ঘটনাটি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ। এ কারণে অভিযোগপত্রটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে