অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২০; সময়: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ |
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, নওগাঁ : নয় মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীর হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে ঘরের বারান্দায় কবর খুড়ে পুঁতে হত্যার চেষ্টার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা জানতে পেয়ে ঘরের জ্বানালা ভেঙ্গে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা।

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে আদমদীঘির নামাপাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইম নওগাঁর এনায়েতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে স্ত্রীকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো নাইম। তাদের ঘরে দুই বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে। ফাল্গুনি বর্তমানে নয় মাসের অন্ত:সত্ত্বা।

বুধবার বিকেলে ফাল্গুনি পাশের তার চাচী স্বাশুড়ির বাড়িতে যায়। কেন ওই বাড়িতে গেল, এ নিয়ে স্বামী স্বাশুড়ি ও স্ত্রী মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী নাইম ফাল্গুনিকে ঘরে আটক করে হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এরপর হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরের বারান্দায় মাটি কেটে কবর তৈরী করে। ঘটনা জানতে পেয়ে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাইকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন।

ফাল্গুনির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো জামাই। এ ব্যাপারে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ জানান, ফাল্গুনিকে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে নাইম। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কবর ও অন্যান্য আলাম পেয়েছে। সেখান থেকে পালিয়ে যাবার সময় ফাল্গুনির স্বামী নাইম ও শ্বাশুড়ি রেহানা বেগমকে আকট করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ।

  • 27
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে