পত্নীতলায় নিষেধের পরেও গাছে পেরেক মেরে সাটিয়েছে ফেস্টুন

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০; সময়: ৭:১২ অপরাহ্ণ |
পত্নীতলায় নিষেধের পরেও গাছে পেরেক মেরে সাটিয়েছে ফেস্টুন

মাসুদ রানা, নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ পত্নীতলা : গাছ মানুষের পরম বন্ধু , গাছ মানুষকে অক্সিজেন দেয় সে অক্সিজেন নিয়ে মানুষ বেচে থাকে আর জীবন বাচানো সেই গাছের ক্ষতি করছে এই মানুষেরা। গাছ শুধু আমাদের জীবন বাচায় না বিভিন্ন প্রকৃতিক দূর্যোগ থেকে থেকে আমাদের ঘরবাড়ীও রক্ষা করে আর এই গাছের গায়ে লোহার পেরাক দিয়ে আটকানো হয়েছে সাইনবোর্ড, সরেজমিনে দেখাযায় নওগাঁ পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশের সরকারি গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য সাইনবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন।

পিছিয়ে নেই বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোও। এসব ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন ঝোলানো হয়েছে পেরেক ঠুকে। একেকটি গাছ যেন একেকটি বিজ্ঞাপন বোর্ড। এভাবে গাছে পেরেক ঠোকা হচ্ছে, অথচ তা দেখার কেউ নেই। আসলে কারও এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন যে গাছেরও প্রাণ আছে। তাই তো যার জীবন আছে তার যন্ত্রণা অনুভবের অনুভূতিও আছে। যুগের পর যুগ লোহার পেরেকের বিষাক্ত যন্ত্রণা নিয়ে জীব জগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে অক্সিজেন নামক জীবনী শক্তি দিয়েই যাচ্ছে ওই আহত বৃক্ষগুলো। পরিবেশ রক্ষার্থে গাছের সাথে এ নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীরা। পরিবেশবিদদের মতে, পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়, তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় দ্রুত পচন ধরে। ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে গাছ মারাও যেতে পারে।

তাই কোনো গাছে পেরেক ঠোকা মানে ওই গাছের চরম ক্ষতি করা। যেখানে আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেখানে আমরা উল্টো গাছের ক্ষতি করে চলেছি। গাছের প্রতি এ নিষ্ঠুর আচরণ দেশের বন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। শত শত পেরেক ফুটানো হুলের প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে নীরবে কাঁদছে বিভিন্ন জাতের বৃক্ষগুলো । মুজিব বর্ষের আহবান, লাগাইগাছ বাড়াই বন এই শ্লোগানে উজ্জিবিত হয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সারাদেশের পত্নীতলা উপজেলাতেও বৃক্ষরোপণের ব্যপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে ।

শুধু বৃক্ষরোপণ করেলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ নয় বৃক্ষটি কিভাবে বেড়ে উঠছে তার পরিচর্যাও প্রয়োজন আছে বলেছেন সুধিমহল । যেখানে প্রধান মন্ত্রী বৃক্ষরোপণের জন্য আহবান জানিয়েছেন এ দিকে এক শ্রেনীর মানুষ দিনের পর দিন বৃক্ষের ক্ষতি করে যাচ্ছে পত্নীতলা উপজেলার বিট অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন সরকারী ভাবে এগুলো লাগানো নিষেধ আছে তবে আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কোন র্নিদেশনা আসেনি।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকার বলেন পোষ্টার বিলবোর্ড যত্রতত্র লাগানো ঠিক না এ বিষয়ে আইন আছে আর গাছে পেরেক মেরে যেটা লাগিয়েছে তা পুরোপুরি আইন বিরোধী। জনসচেতনতায় আমার পক্ষ থেকে মাইকিং করবো।

  • 73
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে