অনুমানে অপারেশন, পেটে তুলা-গজ রেখে সেলাই

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০; সময়: ৭:০৬ অপরাহ্ণ |
অনুমানে অপারেশন, পেটে তুলা-গজ রেখে সেলাই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কোনো পরীক্ষা না করে অ্যাপেন্ডিসাইটের সমস্যা ভেবে রোগীর পেটে অপারেশন করেন চিকিৎসক। এছাড়া অপারেশনের পর রোগীর পেটে গজ-তুলা রেখে সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার ফেয়ার হসপিটালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ফেয়ার হসপিটালের ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও ডা. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব। ৯ আগস্ট, রবিবার দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন রোগীর স্বজনরা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল বরুড়ার রাজাপুর গ্রামের কাশেম শফি উল্লার মেয়ের পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে বরুড়া ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব তার অপারেশন করেন। অপারেশনের পর পেটে গজ রেখেই সেলাই করেন ডা. রাজিব। কিন্তু অপারেশন হওয়ার পরেও রোগীর পেটে ব্যথা অনুভব হয়। ব্যথা কমাতে রোগী ফের ডা. ইকবালের কাছে যান। ডা. ইকবাল তাকে হাইপাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন। এভাবে ৩ মাস চলার পরেও রোগীর ব্যথা কমেনি। পরে রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর তার বোনকে আলট্রাসনোগ্রাফি করান। এতে রোগীর পেটে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন। গত ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ ওই রোগীকে পুনরায় অপারেশন করে গজ বের করেন।

রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর বলেন, ডা. ইকবাল ও রাজিব আমার বোনের রোগ নির্ণয় ছাড়া অপারেশন করেন। পরে পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন। আবার ব্যথা হলে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বলেন। ৩ মাস এমন ওষুধ খাওয়ায় আমার বোনের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়।

ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন অভিযোগের বিষয়ে জানান, তিনি অপারেশনের দিন ছিলেন না। রোগীর ছাড়পত্র দেয়ার দিনও তিনি ছিলেন না। তবে তিনি রোগীকে ওষুধ দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

রোগীর অবস্থা না বুঝে কীভাবে ওষুধ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ইকবাল বলেন, ওই সময় রোগীর পিরিয়ডের সময় ছিল। পিরিয়ড হবে মনে করে ওষুধ দিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে