নাটোরে চামড়া মাটিতে পুঁতে দিল মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২০; সময়: ১১:১০ অপরাহ্ণ |
নাটোরে চামড়া মাটিতে পুঁতে দিল মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পেরে ছাগলের চামড়া ফেলে গেলেন অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী। নাটোর শহরের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আড়তের পেছনে অনেককে চামড়া পুঁতে ফেলতে দেখা গেছে। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, বিক্রি করতে না পারায় এ বছর কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে।

রাজশাহীতেও একই ভাবে বিক্রি করতে না পেরে খাসির চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দেয় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। রোববার দুপুরে নগরের বলুনপুর এলাকায় আই বাঁধ থেকে প্রায় ১৫০০ ছাগলের চামড়া ফেলে দেয়া হয়।

নাটোরে প্রতি পিস ২০ টাকা দরে মোট আড়াই হাজার পিস খাসির চামড়া কিনেছিলেন মৌসুমী ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান। আড়তদাররা ১০ টাকার বেশি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, এমনিতেই আড়তদাররা অর্ধেক দাম বলছেন, লবণ দিলে খরচ আরও বেড়ে যেতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রায় ৬০ শতাংশ খাসির চামড়া ফেলে গেছেন।

নাটোরের আড়তদার মামুন হোসেন বলেন, বিভিন্ন জেলায় চামড়া কেনার লোক নেই। স্তূপাকারে চামড়া পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। নাটোরের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে চামড়া কিনছেন। এগুলো বিক্রি হবে কি না সেটাও প্রশ্ন।

রাজশাহীর আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের যুগ্ম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর চামড়ার বাজার ঠিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। কাঁচা চামড়া রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে সরকার। এতে ট্যানারি মালিকদের ওপর ব্যবসায়ীদের নির্ভরশীলতা কমবে।

নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, নাটোরের ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন। এ বছর নাটোরে প্রায় আট থেকে ১০ লাখ ছাগল-খাসির চামড়া কেনা হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ থেকে সাত লাখ গরুর চামড়া, এক লাখ মহিষের চামড়া এবং এক লাখ পিস ভেড়ার চামড়া কেনার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ। আশা করা যাচ্ছে, প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে।

  • 174
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে