করোনার প্রাদুর্ভাবে লোকসানে কচুয়ার গরু খামারীরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২০; সময়: ১২:২৪ অপরাহ্ণ |
করোনার প্রাদুর্ভাবে লোকসানে কচুয়ার গরু খামারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে সামনে রেখে পরম যত্নে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কচুয়ার খামারিরা। গত বছর পশুর ভাল দাম পেলেও করোনার কারণে এবার কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সঠিক মূল্য না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় প্রহর কাটছে খামারীদের। আশঙ্কা রয়েছে লোকসানের।

গত বছর এই সময়টাতে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও এবার তাদের দেখা না পাওয়ায় বিরাট লোকসানের শঙ্কায় আছেন তারা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের। তবে কচুয়া দুগ্ধ খামার রয়েছে ১২টি ও মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ১৫টি।

উপজেলার সর্ববৃহৎ গরুর খামারি কচুয়ার পালাখাল, গুলবাহার, সাচারসহ বিভিন্ন খামারের বড় আকারের গরু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। এখন পর্যন্ত ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় আশঙ্কা করছেন লোকসানের।

কচুয়ার গরীব কৃষকরা ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর দু’একটি করে গরু প্রায় প্রতিটি পরিবারেই লালন পালন করে থাকে। এবছরেও কচুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ হাজার খানেক গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য পালন করছে।

খামারের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা করতে তারা নির্ঘুম রাত পার করছেন। এখন পর্যন্ত কোনও পাইকারের দেখা মিলছে না। খামার মালিক যদি গরুর ন্যায্য দাম না পায় তাহলে তাদের শ্রম ও মজুরি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। খামারে কাজ করে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার চলে বলে জানান তারা।

কচুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরুল ইসলাম জানায়, কচুয়ার প্রতিটি গ্রামেই কৃষকরা গরু লালন-পালন করে থাকে। এরকম ছোট-বড় খামারি ও এর বাহিরে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যতে হানা দিয়েছে করোনার থাবা। তবে ইতিমধ্যে কচুয়ার কয়েকটি খামারে পরিদর্শন করেছি এবং খামারীদের পরামর্শ দিয়েছি।

তারা জানিয়েছেন পাইকার না আসলে তাদের পথে বসতে হবে। খামারীরা বলেন, ভারত থেকে গরু না আসলে দেশের খামারীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে