নন্দীগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২০; সময়: ১:৫১ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : বগুড়ার নন্দীগ্রামের চাঞ্চল্যকর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুহুল কুদ্দুস উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে।

নন্দীগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির ও এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম একদল পুলিশ নিয়ে শনিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টায় নওগাঁ সদর থানার হাপুনিয়া দিঘীরপার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এ শিক্ষার্থী কোরআন শেখার জন্য স্কুলে যাওয়ার পূর্বে এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে হাফেজ রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে আরবি পড়তে যেত। এমতাবস্থায় একদিন হাফেজের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজন না থাকায় লম্পট হাফেজ সবাইকে ছুটি দিয়ে ওই শিশুটিকে পড়া ধরবে বলে বসতে বলে। অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর হাফেজ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখে কাপড় চাপা দেয় হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। পরে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের কথা বাহিরে কাউকে বলতে নিষেধ করে সে। এঘটনা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। ওই ভয়ে শিশুটি পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানায়নি।

সম্প্রতি ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরে। তখন তার বাবা-মা শনিবার (৪ জুলাই) তাকে উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির অল্ট্রাসনোগ্রাফি করে। ওই রির্পোটে শিশুটিকে তিন মাসের গর্ভবতী বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর বুধবার (৮ জুলাই) ধর্ষণের বিষয়টি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে আপোস-মিমাংশা করার চেষ্টা করে স্থানীয় মাতব্বররা। শিশুটির বাবা তাতে রাজি হয়নি।

এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির জানান, শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী পলাতক ছিল। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে