বাড়ির আঙ্গিনায় আর ‘টুং টাং’ শব্দ শোনা যায় না

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০; সময়: ১২:০০ অপরাহ্ণ |
বাড়ির আঙ্গিনায় আর ‘টুং টাং’ শব্দ শোনা যায় না

মাসুদ রানা, কচুয়া : সামনে কোরবানী ঈদ। ঈদে সবার মধ্যেই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। আর ব্যস্ততা বেড়েছে কামার পল্লীতে। টুং টাং শব্দের সঙ্গে নির্ঘুম বসবাস করছেন কামার শিল্পীরা। কোনো এক সময়ে কচুয়ায় প্রতিটি অঞ্চলে শান দেয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন কামাররা। কিন্তু কালের আবর্তনে এখন আর তা দেখা যায় না।

বলছিলাম হবিগঞ্জ জেলা থেকে আগত বানিয়াচং উপজেলার একজন শান দেয়া কামার রহমত আলীর কথা। যিনি প্রায় ১০ বছর ধরে কচুয়াসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনরাত দা-ছুরি, বটি, চাকু, কোড়াল, চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি শান দিতেন। কচুয়ার বিভিন্ন অঞ্চলেও তিনি কোরবানি ঈদকে ঘিরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সরঞ্জামাদির শান দেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে তার রোজগার কমে যাওয়া স্ত্রী স্বজনদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। প্রাচীনকালে যেমন তাদের আয় হতো কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতা ছোয়া তাদের শান দেয়া বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

দিনরাত সমান তালে রহমত আলী এখন দা, বটি, ছুরি, চাকু, কুড়াল, চাপাতি তৈরি এবং শান দিতে না পারায় জীবন কাটছে দুর্বিসহ। পুরনো সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে কামারদের পাশাপাশি এসব শান দেয়া মানুষদের মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে