চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের নতুন রাস্তা উদ্বোধন

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২০; সময়: ৮:৪২ অপরাহ্ণ |
চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের নতুন রাস্তা উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের আমিনের বাড়ি হতে চাঁপাই গ্রামীণ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তা উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার বিকেলে রাস্তাটির উদ্বোধন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক এ কে এম তাজকির-উজ-জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসজাদুর রহমান মান্নু, প্যানেল চেয়ারম্যান, প্রকল্প সভাপতি ও চাঁপাই গ্রামীণ পাবসস’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাসেম আলী, সমিতির সভাপতি মো. জাকেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. বাসির আলী, সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ফিতা কেটে উদ্বোধনের আগে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, পলশা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক। প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে ১৩৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫ মিটার ঢালায় রাস্তাটি বাস্তবায়ন করেছে গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদ। উদ্বোধন শেষে চাঁপাই গ্রামীণ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কার্যালয় ও মহানন্দা নদীর পানি কৃষি কাজে ব্যবহারের সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পরে গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারক গ্রাম পরিদর্শন ও পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাথে মতবিনিময় করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ কে এম তাজকির-উজ-জামান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।

এসময় আমারক জোড়াবটতলায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৃষ্ণ মন্দিরের কাজ পরিদর্শন শেষে সেখানেই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজকির-উজ-জামান। উল্লেখ্য, মন্দির নির্মানে টিআর হতে ৫৯ হাজার ও বাকি অর্থ প্যানেল চেয়ারম্যান তাসেম আলী ব্যয় করেছেন। এডিসি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করেন। এসময় মন্দিরের ছাদ ঢালায়, ভূমিহীনদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা, শ্মশান নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক তাজকির-উজ-জামান বলেন, মুজিব বর্ষের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষ্য আশ্রয়হীন স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। সরকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আসজাদুর রহমান মান্নু, প্যানেল চেয়ারম্যান মো. তাসেম আলী, কৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত শ্রী পরেশ চন্দ্র রায়সহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জনসাধারণ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে