বদলগাছীতে ২৬ দিনেও উদঘাটন হয়নি দুই নারী খুনের রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বদলগাছী : নওগাঁর বদলগাছীতে দুই মহিলা খুনের কারণ ২৬ দিনেও উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ।

জানা যায়, ৩ জুন বুধবার দিবাগত রাতে বদলগাছী সদর ইউনিয়নের চাংলা গ্রামের আহসান হাবিব (কুয়েল) এর বাড়ীর পূর্ব মাঠে অবস্থিত তার মিনি গভীর নলকূপ ঘরে সাথী ও পরিবানু নামের দুই মহিলা খুন হয়। ৪ জুন (বৃহস্পতিবার) বদলগাছী থানা পুলিশ ঐ গভীর নলকূপ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে মর্ঘে প্রেরণ করে। কোলা ইউনিয়নের পার আধাইপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী আব্দুল কাদিরের স্ত্রী সাথী এবং একই ইউপির হুদরাকুরী গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী পরিবানুর। ৪ জুন দিবাগত রাতে থানা পুলিশ চাংলা গ্রাম থেকে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাবাদের পর কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও চাংলা গ্রামের মৃত নিজামউদ্দিনের ছেলে আবু হাসান মুকুলকে হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ৭ জুন তাঁকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

নিহত পরিবানুর পিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ে পরিবানুসহ সাথী নামের এক মহিলা একই রাতে ঐ মিনি গভীর নলকুপে একই সঙ্গে খুন হওয়ার প্রায় ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খুনের কারণ উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। এছাড়াও চাংলা গ্রামের আবু হাসান মুকুল ছাড়া অন্য কোন আসামীকেও চিহিৃতকরণ করে আটক করতে পারেনি এবং তার মেয়ে সহ সাথী হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বলেও জানান।

উক্ত দুই মহিলা খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আবু হাসান মুকল ছাড়া আর কোন আসামীকে চিহিৃত ও আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ২২/৬/২০২০ ইং তারিখে মুকুলকে তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়। কিন্তÍ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিনব কায়দায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে তার নিকট থেকে কোন তথ্য বের করা যায়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আবু হাসান মুকুল ছাড়া আর কোন আসামী চিহিৃত করণ ও আটক করা যায়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং মামলার অগ্রগতির আশাও তিনি করছেন বলে জানান।