নাটোরে বাস যাত্রিদের মাঝে ডিসির সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২০; সময়: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ |
নাটোরে বাস যাত্রিদের মাঝে ডিসির সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : সারাদেশে সোমবার থেকে শুরু হওয়ায় গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রিদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ। এদিন গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এসময় যাতায়াতে নিয়ম-কানুনসহ স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে যাত্রিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন তারা। বাসের চালক ও হেলপারসহ যাত্রিদের মাক্স ব্যবহারের প্রতি বেশী গুরুত্ব দেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রহিমা খাতুন, এনডিসি জাকির মুনসি, ডিসির ব্যক্তিগত সহকারী রোথিন মন্ডলসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিআরটিএর উপপরিচালক।

এদিকে সরকারের দেয়া শর্ত অনুযায়ী অর্ধেক আসন খালি রেখে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সোমবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা সহ বাড়তি ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। বাসে ওঠার আগে যাত্রিদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছেনা। বাস কাউন্টারগুলো থেকে যাত্রিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদ দিলেও অধিকাংশ যাত্রি তা মানছেননা। বাস টার্মিনাল এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নজরদারি বা তদারকি করতে দেখা গেছে পুলিশের প্রতিনিধিকে। এদিকে শর্ত হিসেবে অর্ধেক সিট খালি নিয়েই বাসগুলি নাটোর থেকে গন্তব্যে রওনা হয়। তবে কিছু কিছু বাসকে রাস্তা থেকে যাত্রি ওঠাতে দেখা গেছে। তবে নিয়ম কানুন বা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নাটোর থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে বলে দাবি বাস মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের।

নাটোর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, যাত্রিদের বাসে ওঠার আগে জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া হ্যান্ড স্যনিটাইজার এবং যারা মাক্স ব্যবহার করছেন না তাদের মাক্স দেয়া হয়। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে জীবানুনাশক ছিটানো হয়। টার্মিনালে হাতধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউন্টারে যাত্রিদের বসার আসন উঠিয়ে সীমিত রাখা হয়েছে। কর্মচারীরা সকলেই মাক্স ব্যবহার করছেন। যে যাত্রি সরকারের দেয়া শর্তসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে দ্বিধা করছেন তাকে কোন কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়া হচ্ছেনা।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা পরিবহণ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বাস মালিক-শ্রমিকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেশী ভাড়ায় গণপরিবহন চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন ধরনের ব্যাত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট বাস ও মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা মাক্স ব্যবহার করবেন না তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করা হবে।

অন্যদিকে যাত্রিদের অভিযোগ বাসের ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ইজিবাইকেও বেশী ভাড়া হাঁকা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে