কচুয়ায় নিহত হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ার বাইছারা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিশৃংসভাবে খুন হওয়ায় হাফেজ এনামুল হকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে কচুয়া জামেয়া আহমেদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র হাফেজ এনামুল হকের পরিবারের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

কচুয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহÑসভাপতি আতাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু’র পরিচালনায় ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাফেজ এনামুল হকের বাবা হাজী মুজিবুল হক।

এসময় হাজী মজিবুল হক বলেন, ওরা শুধু আমার ছেলেকে নয়। ৬ মাসের নব বিবাহিত ৪ মাসের অন্ত:সত্তা পুত্রবধুর জীবনকেও তারা ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। তিনি তার ছেলের হত্যার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া জামেয়া ইসলামিয়া আহমেদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও কচুয়া কওমী বোর্ডের সদস্য মাও. আবু হানিফ, কচুয়া থানা কওমী বোর্ডের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব, মুফতি মাও. মাহবুবুর রহমান, নিহতের ভগ্নিপতি বশির আহমেদ, চাচা জসিম উদ্দিন, চাচাতো ভাই মাওলানা নোমান শিকারী, ভগ্নিপতি মুফতি নূরুল ইসলাম, মাওলানা ইসহাক, মামাতো ভাই মাও. নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই হাফেজ ইব্রাহিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, ২৯মে শুক্রবার সকালে কচুয়া উপজেলার বাইছারা বাজার থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে পৌঁছলে হাফেজ এনামুল হককে নিশৃংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেয়ার সময় এনামুল হকের মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার বাবা হাজী মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।