সুজানগরে সরকারি নির্দেশনায় মসজিদে ঈদের জামাত

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২০; সময়: ৫:১৩ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে সরকারি নির্দেশনায় মসজিদে ঈদের জামাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুজানগর : নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুজানগর পৌরসভার কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুজানগর পৌরসভার তত্বাবধানে প্রতিবছর সুজানগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হলেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক এবারে সুজানগর পৌরসভার তত্বাবধানে সুজানগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মসজিদপাড়া জামে মসজিদ ও খন্দকারপাড়া জামে মসজিদে ঈদের পৃথক তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার পৌরসভার তত্বাবধানে সুজানগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান এ জামাতে সুজানগর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওহাব, সুজানগরের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই সহ অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মসুল্লিগন অংশগ্রহন করেন। নামাজে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আলহাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম।

ঈদের আগের দিন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদেরকে মাস্ক পরিধান করে আসতে এবং সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে মসজিদে ঈদের জামাত করতে সুজানগর পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে সকলকে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া ঈদের দিনে সুজানগর প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে,থানা পুলিশ থানা চত্বর মসজিদে,নিজ গ্রাম চরসুজানগরের স্থানীয় মসজিদে সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির তার নিজ গ্রাম উপজেলার সাতবাড়ীয়ার তারাবাড়ীয়া মসজিদে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন।

প্রতিটি জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়।এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা, সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া,সব উম্মতে মোহাম্মদীর গুনাহ মাফ চাওয়াসহ যেকোন বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতে করোনামুক্ত সুন্দর ও শান্তির পৃথিবী ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা সহ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দু’হাত তুলে দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর উৎসবের দিনে কান্না করেন মুসুল্লিরা। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় সব ধরণের বালা-মুসিবত থেকে সুরক্ষায় প্রার্থনা করা হয় মহান আল্লাহর দরবারে। এদিকে স্বাস্থ্যাবিধি মেনে ঈদ জামাত ,জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের জামাত আদায় করেছেন সুজানগরের মুসল্লিরা।

সরকারি নির্দেশনা মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতার করতে হয়েছে বলে ভেতরে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গনে,খোলা জায়গাতেও অনেককে নামাজে দাঁড়াতে দেখা গেছে। তবে অনেক মুসুল্লী শতভাগ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঈদগাহ মাঠেই ঈদের জামাতের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। কারণ হিসাবে তারা বলেন অন্যান্য নামাজের চেয়ে এমনিতেই ঈদের নামাজে অনেক বেশি সংখ্যক মুসুল্লী অংশগ্রহন করে থাকে। আর তাই মসজিদের স্বল্প জায়গায় এই দূরত্ব বজায় রাখাটা অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। করোনাভাইরাস অতি সংক্রমণ বলে এবার বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে নামাজ পড়তে হয়েছে সবাইকে। ঈদ জামায়াতে শিশু ও বৃদ্ধদের অংশ না নিতে বলা হলেও দেখা গেছে অনেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজে এসেছেন। প্রবীণদেরও বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে