বগুড়ায় পাঁচ চিকিৎসকসহ ১৬ জন কোয়ারেন্টিনে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০; সময়: ২:২৮ পূর্বাহ্ণ |
বগুড়ায় পাঁচ চিকিৎসকসহ ১৬ জন কোয়ারেন্টিনে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঢাকা থেকে ট্রাকে রংপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত দিনমজুর শাহ্ আলমকে। ২৯ মার্চ সকালে বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

১ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে। তার পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। মানে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রংপুরে শাহ্ আলমের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাব থেকে তার পজেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। পরে অধিকতর নিশ্চিত হতে তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও শনিবার রাতে পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শাহ্ আলম গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে করে রংপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। পথে অন্য যাত্রীরা তার শ্বাসকষ্ট ও কাশি টের পেয়ে চিৎকার করেন। ট্রাকটি ২৯ মার্চ ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে চালক ও হেলপার তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।

সেখানে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে হৃদরোগী হিসেবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের আইসিইউতে পাঠানো হয়েছিল।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১ এপ্রিল তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। পরদিন সেখান থেকে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নির্দেশে তাকে আলাদা রাখা হয়। একই সঙ্গে বগুড়া হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধানসহ পাঁচ চিকিৎসক, আট নার্সসহ ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

শনিবার রাতে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুুরুজ্জামান সঞ্চয় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন শাহ্ আলম করোনাভাইরাস পজেটিভ বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার আইইডিসিআর থেকে ঘোষিত রোগীর মধ্যে শাহ্ আলম ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, আইসোলেশনে কর্মরত সবাই পিপিই পরিহিত অবস্থায় শাহ্ আলমের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাই এখানে কাউকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে