জয়পুরহাটে বিসিএসআইআরের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিনামূল্যে সরবরাহ

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২০; সময়: ১:১৫ অপরাহ্ণ |
জয়পুরহাটে বিসিএসআইআরের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিনামূল্যে সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়ায়ী বার বার হাত ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত রাখাই এই ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যতম সহায়ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে জয়পুরহাটে অবিস্থত বিসিএসআইআর।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন ও বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ এবং জয়পুরহাট ২ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নির্দেশনানুসারে জয়পুরহাট ইন্সটিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি এন্ড মেটালার্জি (আইএমএমএম), বিসিএসআইআর।

জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কর্মসূচীর আওতায় জেলার সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সাধারণ জনগন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যারা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি কার্যক্রমে জড়িত তাদের জন্য বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৪.৬ লি, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ৩.০ লি, ইউএনও জয়পুরহাট ৯.২০ লি, জেলা হাসপাতালে ৫ লি, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ২.৪ লি, প্রেস ক্লাবে ৩.৬ লি, মাছুয়া বাজারে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ১০.২ লি, বিভিন্ন মসজিদে ৫.০ লি., জয়পুরহাট থানা ২.২ লি., র‌্যাব অফিস ১.২ লি., সিভিল সার্জন অফিস ১.৭ লি., কমিউনিটি ক্লিনিক ৯.৫ লি., পিডিবি ১.০ লি,হুইপ স্বপনের নির্দেশনানুসারে কালাই ২লি. ও বগুড়া প্রেসক্লাবে ৫.০ লি. এবং জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি পর্যায়েও ১-২ লি. করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামানের নেতৃত্বে বিজ্ঞানী ও ল্যাব টেকনিশিয়ানদের একটি দল নিরলস ভাবে প্রতিদিন কাজ করে চলছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৩০০ লিটার আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ঢাকা হতে সংগ্রহ করেছেন যা দিয়ে আরও ৪৫০ লি. হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে।

ইন্সটিটিউটের পরিচালক পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান বলেন, এসব স্যানিটাইজার জেলার হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে যারা সরাসরি কাজ করছেন তাদের নিকট বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। ব্যাপক চাহিদার তুলনায় আমাদের উৎপাদন হয়তো অপ্রতুল, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি এভাবে সবার এগিয়ে আসার মাধ্যমেই আমরা এই প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো। এসময় তিনি ধৈর্য সহকারে সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান

তিনি আরও জানান যে, বিজ্ঞানীরা কারও নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে জেলার বিভিন্ন সামাজিক নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে দ্ররিদ্য জনগনের খাদ্য সহায়তায় আর্থিক সাহায্য করেছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যহত থাকবে। তিনি সামাজিক নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বিত উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে