সোনালী আঁশে গোদাগাড়ীর কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১; সময়: ২:৫২ অপরাহ্ণ |
সোনালী আঁশে গোদাগাড়ীর কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

মুক্তার হোসেন, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পাটের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় কৃষকরা পাট কেটে পানিতে জাগ দেওয়ার পর পাটের সোনালী আঁশ ছড়ানোর কাজ চলছে পুরোদমে।

রোদে শুকানোর পর পাট কৃষকরা বিক্রি করতে হাট বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। পাট মৌসুমের শুরুতেই কৃষক ভাল দাম পাওয়ায় সোনালী আঁশে গোদাগাড়ীর কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছিল ৯শ’ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে পাট চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। পাট কাটা প্রায় শেষের পথে।

জাগ দেয়ার পর পাটের আঁশ আলাদা করে শুকিয়ে বিক্রিও করছে কৃষকরা। এর মধ্যে উপজেলায় চর আষাঢ়িয়াদহ ইউনিয়নে পাটের চাষ হয় প্রায় ৬শ’ ৫০ হেক্টোর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

চর আষাঢ়িয়াদহ ইউনিয়নের পাট চাষী এন্তাজ জানান, এবার ৭ বিঘা জমিতে সে পাট চাষ করেছেন। জমির পাট কেটে জাগ দিয়েছেন। কিছু জাগ তুলে আঁশ ছড়ানো শুরু করে দিয়েছে। তার পাট চাষ করতে বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি তার পাট ৮ থেকে ১০ মন করে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গত বছর পাট চাষ করে লাভ হয়েছিল। এবারো তার আরো লাভ হবে। লাভ হওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, পাটের দাম ভালো, বর্তমানে পাট প্রতি মণ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরেক পাট চাষী একরামুল জানায়, এবার বৃষ্টি হওয়ায় খালে-বিলে পানির অভাব নেই। খালে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। আঁশের মান ভাল হবে বলেই তিনি আশা করছেন। এবার তার পাটে লাভ হবে বলে জানান তিনি।

কয়েকজন পাট চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জমিতে পাট চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা তাদের শুধু সোনালী আঁশ বিক্রি করেই ১২ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। বাড়তি হিসাবে পাওয়া যায় পাটের খড়ি। সেগুলো বাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার অথবা বিক্রি করা যায়।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মতিয়র রহমান বলেন, এ বছর মৌসুমের শুরুতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক কৃষক সঠিক সময়ে বীজ বপণ করতে পারায় গত বছরের তুলনায় প্রায় একশত ৭০ হেক্টরের বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তবে বাজারে পাটের দাম ভালো হওয়ায় এতে করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী মৌসুমে কৃষকরা পাট চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হবে।

  • 86
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে