বদলগাছীতে কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সফল আরমান

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১; সময়: ৪:২৪ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
বদলগাছীতে কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সফল আরমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বদলগাছী : দেশের শস্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলার একটি বদলগাছী উপজেলা। এ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি আলু, পটল, কাঁচা মরিচ, লাউসহ সকল প্রকার সবজি চাষ হয়ে থাকে।

আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা নাগ ফজলী আমের জন্যও বিখ্যাত। সম্প্রতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় বারো মাস চাষযোগ্য কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে এক কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০/২৫ বছর আগে এক সময় ব্যাপক তরমুজ চাষ করতেন এই উপজেলার কৃষকরা। সেই তরমুজের চাষ আর হয় না বললেই চলে। তরমুজের ক্ষেত্রে পুরোপুরি বাহিরের জেলা থেকে আমদানি নির্ভর এই উপজেলা। এ আর মালিক সীডস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাপানের সাকাতা থেকে কারিশমা জাতের তরমুজের বীজ নিয়ে আসে।

আর এই বীজ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে একজন কৃষক এই হাইব্রিড জাতের এই কারিশমা তরমুজ চাষ করে। পরীক্ষামূলক চাষেই ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কোলা ইউপির ভোলার পালশা গ্রামের কৃষক আরমান হোসেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ঘন ও মাচা পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে কারিশমা জাতের বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা যাবে ১ হাজার থেকে ১২০০টি। রোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এই তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। এক থেকে দের ফিট দূরত্বে রোপণকৃত প্রতি গাছে ফল হয় তিন থেকে চারটি। প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি।

কৃষক আরমান হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সার্বিক সহযোগিতায় আমি এই তরমুজের চাষ করছি। জুন মাসের শুরুতে ২৫ শতক জমিতে ৪০০ টি কারিশমা জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছে। চারা রোপণের দুই মাস পর থেকেই আমি ফল বিক্রি শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ২৫ শতক জমিতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি। ৪০ টাকা কেজি দরে ৩০০ কেজি তরমুজ বিক্রি করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আমার যে পরিমাণ গাছ আছে তা থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কেজি ফলন হবে। যার আনুমানিক দাম হবে এক লাখ টাকারও বেশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী বলেন, তরমুজ অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম আছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারিশমা জাতের হাইব্রিড এ তরমুজ চাষে অল্প সময়ে ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে চাষাবাদ করে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি।

এ জাতের তরমুজ ১২মাস চাষ করা যায়। কারিশমা জাতের তরমুজের বাজারমূল্যও বেশি। এ উপজেলার কৃষকদের কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে