সিরাজগঞ্জ আমন ধান রোপনে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১; সময়: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
সিরাজগঞ্জ আমন ধান রোপনে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বাসায় গৃহশিক্ষক রেখে লেখাপড়া করালেও বঞ্চিত রয়েছে গ্রাম অঞ্চলের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা।

গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন সময়ে পরিবারের বাড়িতে আয়ের জন্য বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবারের বাড়তি আয়ের জন্য চলতি মৌসুমে কৃষকের ফসলী জমিতে আমন ধান রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সিরাজগঞ্জ ‍উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। দৈনিক মজুরি বা ২০/২৫ টাকা প্রতি শতাংশে কৃষকের জমিতে আমন ধান লাগিয়ে দিচ্ছে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী মুহিন (১২) বিপ্লব (১৩), তামিম(১২), সজিব(১২) ও সাফওয়ান (১২) বলেন, করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে তাই আমন ধান লাগিয়ে টাকা আয় করছি। ধান লাগিয়ে যে টাকা পাই তা পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীদের কারো বাবা ভ্যান চালাক কারো বাবা দিন মজুরের কাজ করেই সংসার চালায়। চলমান লকডাউনে বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উপার্জন৷

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের কাজের ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয় না, কিছু কৃষক বা ক্ষেতের মালিক আছেন প্রতি শতাংশ ২৫ টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও কাজের পরে বিভিন্ন ভুল ধরে প্রতি শতাংশ ৫ থেকে ১০ টাকা কম দেয়। অন্য জমিতে ধান লাগানের কাজ পাবে না বলে জোর করে কিছু বলতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন এ শিক্ষার্থীরা।

তাদের কাছে লেখাপড়া বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, করোনায় স্কুল বন্ধ রয়েছে। পরিবারের আর্থিক সংকট থাকায় চাইলেও প্রাইভেট পড়তে পারি না। বাবা মা শিক্ষিত না হওয়ায় আমাদের ইংরেজি, গণিতসহ পাঠ্য বইয়ের পড়া শিখিয়ে দিতে পারছেন না। স্কুল খুলে দিলে আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারবো ও লেখাপড়া করতে পারবো।

উপজেলার ভদ্রঘাট, জামতৈল, ঝাঐল, রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের কিছু শিক্ষার্থীরা করোনায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কেউ মাস্ক বিক্রিতে নেমেছেন কেউ ফল বিক্রি কেউ বা ভ্যান চালিয়ে পরিবারের সংসার চালাচ্ছেন।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, এ মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ৫ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • 126
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে