দাম কমায় লোকসানে মরিচ চাষিরা

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২১; সময়: ৯:২৮ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
দাম কমায় লোকসানে মরিচ চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে সবচেয়ে দাম কম মরিচের। হতাশায় ভুগছে চাষিরা। উৎপাদন খরচ না উঠায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। এতদিন ক্রেতাদের অস্থিরতা থাকলেও বর্তমানে এই অস্থিরতা ও ক্ষতি এখন চাষিদের ঘাড়ে। প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। ক্ষেতের অন্যান্য খরচ বাদ দিলে পরিশ্রমও বৃথা যাচ্ছে তাদের।

গতবার দাম ও উৎপাদন ভাল হওয়ায় এবারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত মৌসুমের অর্জনের চেয়ে বেশী জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এবারে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে দুই হাজার ২৫০ হেক্টর। গত মৌসুমে মরিচের আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৩ হেক্টর। শিলাবৃষ্টি, প্রলম্বিত খরা, মোড়ক ও অপরিমিত বৃষ্টিতে মরিচ উৎপাদন ব্যাহত হলেও ভাটা পড়েছে দামে। চাহিদার চেয়ে বেশী উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের ধারনা একেবারে উল্টো।

মাসখানেক আগেও মরিচ ক্ষেতের যত্নে ব্যস্ত সময় পার করেছেন চাষিরা। দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা যত্ন নিচ্ছেন না ক্ষেতের। পবা উপজেলার তেঘর গ্রামের আক্কাস সরকার জানান, দাম কমে যাওয়ায় মরিচ তুলছেন না তিনি। ওই উপজেলার একাধিক মরিচ চাষি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর কাঁচা মরিচের দাম ভাল থাকায় চাষীরা এবার ব্যাপক জমিতে মরিচ রোপন করেছেন। গতবার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মরিচের দাম ভাল ছিল। শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে একপর্যায়ে তা ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় ওঠে। এরপর উঠে ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এবারে মৌসুমের শুরুতেই হোচট খেয়েছে চাষিরা। বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশায় বুক বেধেছিল চাষিরা। দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। অনেকে ক্ষেতেও যাচ্ছেন না।

গত বুধবার রাজশাহীর সিটি বাইপাস খড়খড়ি পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচের দাম ১৮-২৫ টাকা। অথচ প্রতি কেজি মরিচ ক্ষেত থেকে উঠাতে খরচ হচ্ছে ১০-১২ টাকা। প্রতি কেজির ভাড়া ২ টাকা এবং খাজনা (টোল) ১ টাকা। এতে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে ক্ষেত মালিকের থাকছে ৫-১০ টাকা। তবে যারা জমি লীজ নিয়ে মরিচের আবাদ করছেন তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি বিভাগ দেখে থাকে আবাদের দিকটা। দামের বিষয়টি দেখভাল করে থাকে বাজার মনিটরিং কর্মকর্তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক কে জে এম আব্দুল আওয়াল একই কথা বলেন। তবে তিনি বলেন ঝুকির মধ্যে থেকেই চাষিরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দাম না পেলে চাষের আগ্রহ থাকবে না। দামের বিষয়টি বাজার মনিটরিং সংশ্লিষ্টরা দেখভাল করে থাকেন। মরিচের দাম বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • 304
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে