তাড়াশে বিনাচাষে রসুনের আশাতীত ফলন

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২১; সময়: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
তাড়াশে বিনাচাষে রসুনের আশাতীত ফলন

নূর ইসলাম রোমান, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলতি বছর বিনাচাষে রসুনের আশাতীত ফলন হয়েছে। কৃষকেরা এখন নতুন রসুন তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, দিনে দিনে চলনবিলাঞ্চলে বিনাচাষে কৃষকদের কাছে রসুন চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খরচ কম, ফলন বেশী ও লাভের পরিমান ও বেশী তাই তারা রসুন চাষে ঝুকে পড়েছেন। এ বছর চলনবিল এলাকা প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, তাড়াশ উপজেলায় চলতি বছরে ৫শত হেক্টর জমিতে রসুনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল কিন্ত ৫শত ৭২ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জিত হয়েছে।

উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ইমান আলী বলেন, প্রতিবছর রসুনের আবাদ করে এ অঞ্চলের কৃষকেরা অনেক লাভবান হয়। এ বছর ফলন হয়েছে বাম্পার কিন্ত দাম কম হওয়ায় সবাই পড়েছেন দু:চিন্তায়। তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে রসুনের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে সার, কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরী দিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার করে। আর বিঘা প্রতি রসুন হয়েছে ৩০/৩৫ মণ হারে। হাটে বিক্রি করেছেন প্রতিমণ ৫শত থেকে ৬শত ৫০ টাকা করে।

উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহিষলুটি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, গত বছর কৃষকেরা প্রতিবিঘায় ৩৫-৪০ মন করে রসুনের ফলন পেয়েছিলেন। তা বাজারে বিক্রী করেছেন প্রতিমন ৩হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ বছরও রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, তাড়াশ উপজেলায় এ বছর রসুনের ফলন হয়েছে অনেক ভালো হয়েছে। বাজার মুল্যে বেশি। আশার করছি আরো দাম বাড়বে। কৃষকদের রসুন আবাদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে