শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত ফুলবাড়ীর কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফুলবাড়ী : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধুম পড়েছে বোরো চাষের। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে কাঁকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চারা রোপণে সময় কাটছে উপজেলার কৃষাণ কৃষাণীদের।
বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষাণ-কৃষাণীদের মধ্যে কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, কেউ চারা রোপণ করছেন, আবার কেউ জমিতে হালচাষ করছেন। শীত বেশি থাকায় আবার অনেকে একটু অপেক্ষা করছেন। সকালে সূর্যের দেখা মেলার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাঁকে ঝাঁকে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। শীতের শুরুতে আগাম তৈরি বীজতলা থেকে কৃষকরা চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলার কিশামত প্রাণকৃষ্ণের চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বছর তিন ধাপের বন্যায় রোপা আমন ফসল ঘরে উঠাতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলনও ভালো হবে বলে আশা করি।
এদিকে চাষিরা যেনো সঠিকভাবে ফসল চাষ ও পরিচর্যা করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন।
কাশিপুর ইউনিয়নের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘জমি প্রস্তুত হয়েছে। চারা উত্তোলন শেষ হলেই জমিতে রোপণের কাজ শুরু করবেন। ফসল ভালো হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবো, তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করেছি। রোপা মৌসুমে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম চারা গাছ রোপণ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুর রশিদ বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, ব্রি-ধান ৫৮, ব্রি-ধান ৭৪, ব্রি-ধান ৮১, ব্রি-ধান ৮৮, ব্রি-ধান ৮৯। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চারা রোপণ সম্পন্ন করে ফেলেছেন চাষিরা। উন্নত লাগসই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্প সময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ৯০ ভাগ বোরো চারা রোপণ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পাশে রয়েছেন কৃষি বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তারা।