মহাদেবপুরে কোরবাণির পশুহাট জমে উঠলেও ক্রেতা নেই

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২০; সময়: ৩:২৭ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
মহাদেবপুরে কোরবাণির পশুহাট জমে উঠলেও ক্রেতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, মহাদেবপুর : নওগাঁর মহাদেবপুরে করোনা ভয় উপেক্ষা করে  কোরবাণির পশুর হাট জমে উঠেছে। সপ্তাহের শনিবার উপজেলার সদরে, রবিবার হাট চকগৌরী, বুধবার মাতাজী হাটে এবং শুক্রবার বাগডোব পশুর হাট বসছে। পশুর হাট গুলোতে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্ত করণে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হলেও এ বছর প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি। এছাড়াও হাটগুলোতে পকেট টানা পাটির উপদ্রব বেড়েছে কয়েকগুণ।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ২শ’ ৮৭টি গরুর খামার ও ৪’শ ২৬টি ছাগলের খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবাণি উপলক্ষ্যে ৬ হাজার ৯’শ ৬৫টি গরু এবং ৫ হাজার ২’শ ৭৪টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলার পশুর হাটগুলোতে নিয়ে আসা খামারের বড় গরুর চাহিদা এবং ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে।

গরু খামারী সাজু আহম্মেদ এবং ডা. নাহিদ বলেন, কোরবাণি উপলক্ষে বিগত বছরগুলোর মতো এবারো তারা দেশী এবং বিদেশী জাতের গরু স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করেছেন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খামারের বড় গরুর বেচা-কেনায় ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। খামারীরা বলছেন ক্রেতাদের মধ্যে বড় গরু কেনার আগ্রহ কমে যাওয়ায় এবার এক লাখ টাকার বড় গরুর দাম করছে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার। এ কারণে গরু খামারীদের ব্যাপক লোকশান গুনতে হবে।

অপরদিকে কোরবাণির পশুর হাটগুলোতে গৃহপালিত ছোট এবং মাঝারি গরুর চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মতো ছোট এবং মাঝারি পশুর দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। কুরবানীর ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে গরু-ছাগল ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে পা ফেলার জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে উপজেলার পশুর হাটগুলোতে। তবে স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে উপজেলার কুরবানির হাটগুলোতে গরু-ছাগল ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড় রীতিমত সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।

অভিযোগ রয়েছে উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির উদাসীনতায় স্থানীয় হাট বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হবার সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান বলেন, হাট গুলোতে ক্রেতা বিক্রেতা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে