আমন চাষে পুরোদমে মাঠে কৃষক

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২০; সময়: ১০:১০ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
আমন চাষে পুরোদমে মাঠে কৃষক

আসাদুজ্জামান মিঠু: অন্যসব বছরের চেয়ে এবার আষাঢ় একটু আগেই শুরু হয়েছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ সপ্তহের থেকে পুরো দমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আষাঢ়ের ১৫ দিন পেরিয়েছে। তবুও এক দিনের জন্য বৃষ্টি ঝরেনি এমন দিন পাওয়া যাবেনা।

তাই অগ্রিম অতিরিক্ত বৃষ্টি পেয়ে আমন চাষে মাঠে মেনে পড়েছে কৃষকেরা। রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের এখন আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

তবে অন্যসব বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আমন চাষে বাড়তি আগ্রহ আছে কৃষকের মধ্যে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর বোরো ধানে ভাল দাম পেয়েছেন। ফলনও ভাল গেছে। তাই এবার ধান চাষ করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখেছেন। শুধু ধানেই নয়,চলতি বছর মুসুর,সরিষা,আলুসহ অন্যসব রবিসশ্য বাজার বেশ চড়া ছিল শুরু থেকেই। এতে খুশি কৃষক।

রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে চলতি মৌসুমে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝা মাঝি সময় থেকে আমন চাষে প্রস্ততি শুরু করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। আষাঢ় মাস শুরুর আগেই বৃষ্টি হতে শুরু হয়েছে এ অঞ্চলে। আষাঢ়ের প্রথম সপ্তহ থেকেই বীজতলা থেকে চারা তুলে আমন রোপন শুরু করেছেন কৃষকেরা। পুরোদমে মাঠে মাঠে আমন রোপন শুরু হয়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। তবে,লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি আমন আবাদ হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন।

এর জন্য জেলায় এবার বীজতলা হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের,রাজশাহী,নঁওগা,নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হবে আরো ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে। এই জন্য এ অঞ্চলে বীজতলা হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, আমন চাষে সেচ খরচ লাগে না। সার খরচও কম।বর্ষার পানির উপর নির্ভর করে উচুঁ নিচু সকল জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ বছর অগ্রিম অতিরিক্ত বৃষ্টি তাই দেরি না করে আমন চাষে নেমে পড়েছেন তারা।

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা জানান,চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম ভাল পাওয়াই আমন চাষে এবার বাড়তি আগ্রহ আছে কৃষকের মধ্যে। তাই এবার বৃষ্টি বেশি হওয়াই অগ্রিম আমন চাষে নেমেছেন কৃষকেরা। অন্য বছরে বৃষ্টির অভাবে আষাঢ়ের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আমন চাষ শুরু করতে পারেনা তারা।

তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমশের আলী জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষাবাদ করার জন্য জ্যৈষ্ট মাসের ১৫ তারিখ থেকে বীজতলার কাজ শুরু করেছেন এই অঞ্চলে কৃষকেরা। আষাঢ়ের শুরুতেই বৃষ্টি পুরোদমে আমন রোপন শুরু করেছেন কৃষকেরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও চলতি বছছর বেশি আমন চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে