পুঠিয়ায় ৫ বছরে আউশ ধানের আবাদ বেড়েছে ৪ গুণ

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২০; সময়: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ |
খবর > কৃষি
পুঠিয়ায় ৫ বছরে আউশ ধানের আবাদ বেড়েছে ৪ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অন্নের যোগান দিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নাই। তাছাড়া বাণিজ্যিক কৃষির ধারণা দিন দিন জনপ্রিয়তার কারণে ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে বিভিন্ন আম, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, ড্রাগন, কুলসহ বিভিন্ন ফলের বাগান ৷ আবার, ধানের তুলনায় গম, ভূট্টা, সবজি লাভজনক হওয়ায় কৃষক ঝুঁকছে সেদিকে ৷ কিন্তু তাই বলে কি, প্রধান খাদ্য শস্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন কমে যাবে! মোটেও না, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় বোরোর তুলনায় আউশের আবাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে সমন্বিত নানা পদক্ষেপ। নতুন নতুন জাতসহ আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, কৃষকদের আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ, ডিএপি সারের মূল্য হ্রাস ইত্যাদি ইতিবাচক পদক্ষেপে সারা দেশের মত রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় আউশের এরিয়া বিগত ৫ বছরে বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।

২০১৫-১৬ সালে পুঠিয়ায় যেখানে আউশের এরিয়া ছিল মাত্র ১১০ হেক্টর, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ হেক্টরে।

অন্যদিকে উৎপাদন ২০১৫-১৬ সালে যেখানে ছিল ২৬৪ টনের মত সেটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৪০ মে. টনে ( চালের হিসাবে)। ইতোমধ্যেই পুঠিয়া উপজেলার বারইপাড়া মাঠে আউশ রোপণ শেষ হয়েছে। শিলমাড়িয়া, জিউপাড়া, ভালুকগাছি ইউনিয়নে চলছে আদর্শ বীজতলা তৈরির কার্যক্রম। বানেশ্বর ইউনিয়নে দেরিতে বোরো হওয়ায় আরো ১০-১৫ দিন পরে শুরু হবে আউশ বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি।

আউশের এই ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির পিছনে কারণ জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভুঁইয়া বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আধুনিক জাতের সম্প্রসারণ, সারের মূল্য হ্রাস, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, আর এ সব কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিস ৷ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারদের নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহণে ৷ তবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে তা আরো বাড়ানো সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে