সাঈদীর মতো খালেদা জিয়াকেও মারতে চায় সরকার : বগুড়ায় ফখরুল
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হাসপাতালে রেখে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো মারতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বগুড়া চারমাথা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সে থাকলে নাকি ভালো নির্বাচন হয়! শিয়ালের কাছে মুরগি দিলে কি হয় তা সবাই জানে। জনগণের ভোটাধিকার চুরি করে ২০২৪ সালে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে। কিন্তু এবার আর তা হবে না।
বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলা গ্রেপ্তার আর সাজা দিয়ে বিরোধীমাঠ শূন্য করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যেভাবে জেলে রেখে মেরেছে, বেগম জিয়াকেও সেভাবে হাসপাতালে রেখে মারতে চায় সরকার।
ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বগুড়া থেকে সান্তাহার ও নওগাঁ হয়ে রাজশাহীর মোট ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
এদিকে, বগুড়া থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরে বগুড়া থেকে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বিকেলে রাজশাহী পৌছাবে।
শনিবার রাজশাহী নগরের মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার রোডমার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে গাবতলী, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ করা হবে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই শেষ হবে রোডমার্চ। সমাবেশে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন।