প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর থেকে যা আশা করছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩; সময়: ১২:৩৬ pm |
খবর > জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর থেকে যা আশা করছে বাংলাদেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সামিটে অংশ নিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি তার শেষ ভারত সফর।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে এই সফরটি করছেন, যখন আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার কিছুটা আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।

ফলে জি-২০ জোটের সদস্য না হলেও পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলোর এ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ কোনো রাজনৈতিক অর্জন ঘরে তুলতে পারবে কি-না তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণ রয়েছে।

বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই সরকারের ওপর দৃশ্যমান চাপ প্রয়োগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের নেতাদের ধারণা, নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের বিপরীতে ভারতকে সক্রিয় করতে সক্ষম হবেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশের নেতারা আসবেন, যেখানে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটিরও অবসান হবে, এমন প্রত্যাশাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

দলটির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ বলেন, আজকে যার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি, কে জানে কাল হয়ত তার অবসানও হতে পারে।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশকেই সামিটে আমন্ত্রণ করা হয়েছে যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই সুযোগে বাংলাদেশ সাইড লাইনে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে নিজেদের বিষয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে।

অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বিশ্ব নেতারা কী ভাবছেন, সেটি যেমন জানার সুযোগ আসবে, তেমনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলার সুযোগ হবে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়। আমার মতে বাংলাদেশের জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যার মধ্যে একটি করা হচ্ছে রুপি ও টাকায় বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক লেনদেন সহজ করার জন্য।

পাশাপাশি কিছু জরুরি নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে ভারত যেন বাংলাদেশের জন্য একটি কোটা সংরক্ষণ করে, এমন প্রস্তাবও মোদির সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরবেন শেখ হাসিনা। এটি হলে ভারত কোনো পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশে সেটি আমদানি বন্ধ হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে