‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা জড়িত’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতের ভবিষ্যৎ ও এর নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নয়া দিল্লিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে এ কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জৈষ্ঠ কর্মকর্তা স্মিতা প্যান্ট।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একত্রে নবায়ণযোগ্য শক্তি ও সুন্দরবন রক্ষা করাসহ অনেক কিছু করতে পারে।
স্মিতা প্যান্ট বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে পরিবারসহ শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা। বাংলাদেশের জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তারা তার স্বপ্নকে পরাজিত করতে পারেনি। আজ সবাই তার স্বপ্ন অনুধাবন করতে পারছে। বাংলাদেশের মানুষ মৌলবাদীতাকে পরিত্যাগ করেছে, দেশও এখন মধ্যম আয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে, তারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে প্রচুর সেনাও পাঠাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষদের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও ত্যাগ আদর্শে পরিণত হয়েছে। শেখ মুজিব তার অভিজ্ঞতা থেকে রাজনৈতিক দর্শন তৈরি করেছেন, যুদ্ধ করেছেন সমতা ও ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবিক অধিকার, বিশেষ করে আত্মমর্যাদার জন্য।
মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে দেয়া তার প্রথম ভাষণে সবার জন্য শান্তি এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্বের বিষয়ে ইঙ্গিত করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে মুস্তাফিজুর বলেন, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধ শান্তি ও ন্যায়ের জন্য সর্বজনীন সংগ্রামের প্রতীক’। একই ধরনের কথা তিনি ১৯৭৩ সালে জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনেও বলেছিলেন।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির বিষয়েও কথা বলেন।
প্যান্ট ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণও বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, আর্থ-সামাজিক মানদণ্ডে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে। ভারতের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে এমন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।