সাঈদীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিতে হবে যে প্রক্রিয়ায়
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীনে তিনি মারা যান।
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাঈদীর মৃত্যুসনদ দেওয়ার পরে লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চিকিৎসকের কাছ থেকে সনদ পাওয়ার পর মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে কিনা, বা স্বজনেরা বিনা ময়নাতদন্তের আবেদন করেন কিনা, সে বিষয়ে বলা যাবে।
সাধারণত কোনো কয়েদি বা বন্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মারা গেলে এবং কোনো সন্দেহ না থাকলে ময়নাতদন্ত করা হয় না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকেল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।