তাড়াশে ভিজিডির কার্ড দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩; সময়: ৬:৫২ অপরাহ্ণ |
তাড়াশে ভিজিডির কার্ড দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ

নূর ইসলাম রোমান, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভিজিডি’র কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা করে ৪নং মাগুরা বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট কৌশলে তার লোকদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

কার্ড না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ০২/১১/২২ ইং তারিখে প্রতিকার চেয়ে ৭ জন নারী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট তার নিকট আত্নীয় মোঃ সোহেল রানার মাধ্যমে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। সোহেল রানা মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর হামকুড়িয়া গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মেজবাউল করিম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ৭ নারী। তাতে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় এবার জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করে চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াসহ টাকা ফেততের দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী অভিযোগকারী নারীরা হলেন, ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ দেলোয়ারা খাতুন, ফিরোজ হোসেনের স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন, খাইরুলের স্ত্রী মোছাঃ রশিদা, ফরজ আলী’র মোছাঃ মাছেদা, আব্বাস আলীর স্ত্রী আছমা খাতুন, ইয়ার আলীর স্ত্রী নূরজাহান ও আবু সামার স্ত্রী ছালমা খাতুন। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, সোহেল রানা কম্পিউটার অপারেটর মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যানের নিকট আত্নীয়।

সার্বক্ষণিক ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যানের ও বিভিন্ন ধরনের কাজের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তিনি ভুক্তভোগীদের বলেন, ভিজিডি কার্ড নিতে হলে চেয়ারম্যানকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হবে অনেকেই এর চাইতে বেশি দিচ্ছে। তারা নিরুপায় হয়ে ধারদেনা করে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কার্ড বা টাকা ফেরত দেয়নি। কার্ড বা টাকা ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল রানা টাকা নেওয়ার বিষয়টি তথ্য প্রমাণসহ অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। এ ব্যপারে মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম্যাগনেট ধারণকৃত অডিও রেকর্ড ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে টাকা ফেরত দিতে বলেন।

কিন্তু অনেক দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগীরা কোনো টাকা ফেরত পাননি। পরে সোহেল রানাকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যপারে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যানের নিকট সব টাকা ফেরত দিয়েছি। চেয়ারম্যান টাকা ফেরত না দিলে আমি কি করবো।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশিরভাগ ভিজিডি কার্ড চেয়ারম্যান ম্যাগনেট টাকার বিনিময়ে দিয়েছে। যে বেশী টাকা দিয়েছে চেয়ারম্যান তাকে কার্ড দিয়েছেন। যে টাকা কম দিয়েছে তাকে কোনো কার্ডই দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। অভিযোগ আছে যে, চেয়ারম্যান ম্যাগনেট ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নাম করে গ্রামের অসহায় দরিদ্রদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এর সঠিক বিচার পাচ্ছেন না

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে