মহামারিতে অনিয়ম, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ১১ লাখ ডলার জরিমানা

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩; সময়: ২:৫৯ অপরাহ্ণ |
মহামারিতে অনিয়ম, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ১১ লাখ ডলার জরিমানা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাজ্যর সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ১১ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

করোনা মহামারি চলাকালীন বাতিল হওয়া ফ্লাইটের অর্থ যাত্রীদের সময়মতো ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন সরকারের এই জরিমানার মুখে পড়েছে আকাশপথে সেবাদানকারী এই সংস্থাটি।

শুক্রবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি চলাকালীন বাতিল হওয়া ফ্লাইটের অর্থ যাত্রীদের ফেরত না দেওয়ায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ১১ লাখ ডলার জরিমানা করেছে মার্কিন সরকার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন বলেছে, এয়ারলাইনটি বাতিল হওয়া বা পুনঃনির্ধারিত ফ্লাইটের অর্থ ‘যাত্রীদের সময়মতো ফেরত’ দেয়নি।

মার্কিন পরিবহন দপ্তর আরও বলেছে, ব্রিটিশ এই এয়ারলাইন সম্পর্কে ১২০০ টিরও বেশি অভিযোগ পেয়েছে তারা। তবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেছে, তারা ‘সব সময়ে আইনগত ভাবেই কাজ করেছে’।

মার্কিন পরিবহন বিভাগের মতে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

ফ্লাইট বাতিল বা উল্লেখযোগ্যভাবে সময়সূচী পরিবর্তন করা ফ্লাইটগুলোর অর্থ ফেরত দেওয়ার মতো বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

পরিবহন বিভাগ বলছে, এমন নির্দেশনার পরও, গ্রাহকরা এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে কল করার চেষ্টা করলেও গ্রাহক পরিষেবা এজেন্টদের সাথে কথা বলতে পারেনি। কারণ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তার গ্রাহক পরিষেবার ফোন লাইনগুলোর কার্যকারিতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল।

বিভাগটি বলেছে, ‘আর এই সময়ের মধ্যে ব্রিটিশ এই এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ ফেরতের অনুরোধ জমা দেওয়ার কোনও উপায়ও ছিল না।’

এটি আরও বলেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য গ্রাহকদেরকে সমস্যার মুখে ফেলেছিল।

এছাড়া মার্কিন পরিবহন বিভাগ ১২০০ অভিযোগ পাওয়ার পাশাপাশি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ নিজেও তার গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি আরও হাজার হাজার অভিযোগ এবং অর্থ ফেরতের অনুরোধ পেয়েছে।

পরিবহন বিভাগটি বলেছে, ‘প্রয়োজনীয় অর্থ ফেরত পেতে এসব ব্যর্থতা হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ এবং বিলম্বের কারণ হয়’। আর তাই এই জরিমানা ‘ভবিষ্যতে একই ধরনের বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবন্ধক’ হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে ব্রিটিশ এই এয়ারলাইনটি বলেছে: ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে, করোনা মহামারি মধ্যে আমরা দুর্ভাগ্যবশত হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে এবং সরকারি বিধিনিষেধের কারণে কিছু কল সেন্টার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম।

আর এ কারণে আমাদের গ্রাহকরা গ্রাহক পরিষেবা দলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অপেক্ষাকৃত কিছুটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছিলেন।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ওই সময়ের মধ্যে আমরা সবসময়ই আইনানুগভাবে কাজ করেছি এবং গ্রাহকদের বিভিন্ন তারিখে ভ্রমণ টিকিট পুনরায় বুক করার সুযোগ প্রদান করেছি, অথবা তাদের ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেলে অর্থ ফেরত নেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছিল।’

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দাবি, ‘করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা ৫০ লাখেরও বেশি রিফান্ড সম্পন্ন করেছি।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে