রাজশাহীতে মামলার তথ্য গোপন করে কাউন্সিলর প্রার্থী আ.লীগ নেতা

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩; সময়: ১১:২১ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে মামলার তথ্য গোপন করে কাউন্সিলর প্রার্থী আ.লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরের শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে মামলার এ তথ্য গোপন করে তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়ে এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনে। তবে এখনো তার প্রার্থিতা বাতিল হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন জুয়েল রানা। তাঁর হলফনামায় এই মামলা সংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি দেননি। যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জানা গেছে, বাড়িঘর ও কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট ও ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গত ৪ এপ্রিল পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন এক নারী। চন্দ্রিমা থানা আমলি আদালতে ওই মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-৪১/২০২৩)। এই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল রানা। মামলাটি এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।

যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী শাকিলা জাহান বলেন, ‘আসামিদের কারণে তিনি বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তিনি এখন বাবার বাড়িতে রয়েছেন। তার সন্তানেরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। তাদের পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, তাঁদের ওপর যখন আসামিরা নির্যাতন চালিয়েছিলেন, তখন কেউ তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল রানার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বছর দুয়েক আগে তিনি যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেন। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের পদ পেয়েছেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী জুয়েল রানার হাতে এখন নগদ অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ টাকা।

হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী জুয়েল রানার মুঠোফোনে বুধবার বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি কেটে দেন।

জুয়েল রানার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বলেন, হলফনামায় জুয়েল রানার মামলার তথ্য গোপনের বিষয়টি ২৮ মে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তারপরও তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়নি। পরে তিনি ৩০ মে আপিল কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তবে আপিলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে