নওগাঁয় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩; সময়: ৯:০৪ pm |
নওগাঁয় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : নওগাঁ জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়েছে । বদলগাছি আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বুধবার বিকেল ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকোর্ড হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান-বিকেল ৩টায় জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকোর্ড করা হয়েছিলো ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার সকাল থেকে জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে । আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে গরম । মঙলবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়েছিলো বলে জানান তিনি।

তিনি জানান- আর বাতাসের আদ্রতার সমুষ্টি ৪৪শতাংশ।যার মধ্যে শুস্ক বাতাসের আদ্রতা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ভেজা বাতাসের আদ্রতা ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নাই। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁয় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জন জীবন। দৈনিক মজুরীতে কাজ করতে আসা দিনমজুররা হাপিয়ে ঊঠছেন তাদের কর্মে। তীব্র গরমের মধ্যেও জীবনের তাগিদে এক প্রকার বাধ্য হয়ে কর্ম করছেন তারা। তবে অতিরিক্ত গরমের কারনে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় বেশ অলস সময় পার করছেন তারা। এছাড়া সারা দিন কাজ করে রাতে ঘুমানোর সময় তাদের লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হয় । ফলে আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে তাদের জনজীবন ।

অপরদিকে অতিরিক্ত গরমের কারনে হৃদষ্ট্রোকসহ নানান উপশমের কথা জানিয়েছেন ডাক্তার। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশী উঠে যায় তবে হৃদষ্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এই কারনে গ্রীষ্মকালনী ফল যেমন আম কাঁঠাল লিচু সহ সহনীয় পর্যায়ে খাওয়ার কথা তিনি জানান । আর ডায়াবেটিস রোগীদের গ্রীষ্মকালীন মিষ্টি জাতীয় ফলগুলো মাত্রাতিরক্ত না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বাহিরের খোলা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি জানান- যত সম্ভব হয় তরল জাতীয় খাবার খেতে । আর এই তীব্র গরমে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে রোদে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। হাসপাতালে সাধারন ডায়রিয়া , জ্বর ,শর্দি কাশি সহ স্বাভাবিক অসুস্থ প্রায় ৩২জন রোগী ভর্তি আছে। তবে গরমের কারনে হৃদষ্ট্রোক জাতীয় কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে