একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য লজ্জার: মোশাররফ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যাচার, ব্যর্থতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর আজ ধিক্কার দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘অথচ বেগম খালেদা জিয়ার সময় ওই দেশগুলো সরকারকে ‘উদীয়মান টাইগার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। আমেরিকা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, যা দেশের জন্য লজ্জাকর। এসব কারণে শেখ হাসিনার বিদায় এখন এক দফার দাবিতে পরিণত হয়েছে।’

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার সভাপতিত্বে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত জনসমাবেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য। শেখ হাসিনা যে দেশে যাচ্ছেন সেখানেই তাকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।’

মোশাররফ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য রাজপথের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।’

নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন রাজপথে ফয়সাল হবে। এজন্য আপনাদের বড়ধরনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকবে হবে।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করতে পারলে দেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরশাদ সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষা করেছিলেন খালেদা জিয়। এবারও দেশ রক্ষায় খালেদা জিয়ার বিকল্প নাই। খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা একেএম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

বগুড়ায় বিএনপির জনসমাবেশ উপলক্ষে জেলার ১২ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই জনসমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। এ কারণে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরের প্রবেশমুখ ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে বগুড়ায় বিএনপির জনসমাবেশ স্থলের ৫০০ মিটার দূরে শহরের সাতমাথায় মহড়া দেয় ছাত্রলীগ। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সাতমাথায় অবস্থান নেন।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, বিএনপি সমাবেশের নামে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করছি।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলা করতে পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। তবে বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।