শিশুদের অ্যালার্জির কারণ ও প্রতিকারের উপায়

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩; সময়: ২:৩৫ অপরাহ্ণ |
শিশুদের অ্যালার্জির কারণ ও প্রতিকারের উপায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অ্যালার্জি রোগটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। অ্যালার্জি হওয়ার কোনো বয়স নেই। যেকোনো বয়সের লোকই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বড়দের তুলনায় আমাদের দেশে শিশুর অ্যালার্জিতে বেশি আক্রান্ত হয়।

শিশুদের অ্যালার্জির কারণ ও প্রতিকারের উপায়-

শরীরে নানাভাবে অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়। ত্বকে নানা ধরনের চুলকানি, ফুসকুড়ি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা নজরে আসে। তবে অ্যালার্জি শুধু ত্বকে বা চুলকানিতে সীমাবদ্ধ নয়। হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হওয়াও অ্যালার্জির প্রকাশ। এ ছাড়াও অনেক বিভিন্ন রকমের খাবার থেকেও অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।

অ্যালার্জির উপিসর্গ সাধারণত ছোটবেলা থেকেই দেখা দেয়। সদ্যঃপ্রসূত শিশুদের ক্ষেত্রে গরম কাপড় থেকেও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। শিশুদের ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, হাঁচি, কাশিজনিত সমস্যা হলে বুঝতে হবে শিশুটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছে। অনেক শিশু ধুলাবালি, পুরোনো কাপড় ও বইয়ের সংস্পর্শে আসলেও অ্যালার্জি দেখা দেয়।

অ্যালার্জির প্রকারভেদ-

বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এ অ্যালার্জিগুলোকে কয়েকটিভাগে ভাগ করেছে। যেমন:

একজিমা: একজিমা একটি প্রদাহজনিত রোগে। এটি সাধারণত হাত, গাল, মাথার ত্বক, পায়ে হয়ে থাকে। একজিমা হলে শিশুদের শরীরে র‍্যাশ বা দানা, ফুসকুড়ি, চুলকানি হতে পারে।

আর্টিক্যারিয়া: নানা রকমের খাবার, ধুলাবালি থেকে সাধারণত আর্টিক্যারিয়া দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে শিশুর গায়ে লালচে চাকার মতো দেখা দেয়সহ প্রচণ্ড চুলকানি হতে থাকে। আর্টিক্যারিয়া থেকে অনেক সময় শিশুর শ্বাসকষ্টও শুরু হতে পারে।

মিলিয়ারিয়া: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যালার্জি বংশানুক্রমিকভাবে হয়ে থাকে। অর্থাৎ মা-বাবা থেকে কিংবা বংশের কারও অ্যালার্জি থাকলে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আবার কিছু খাবার যেমন চিংড়ি মাছ, বেগুন, গরুর মাংস ইত্যাদির কারণে অ্যালার্জি হতে পারে।

কিন্তু মনে রাখতে হবে, এসব খাবার ছাড়া অন্য খাবারেও অ্যালার্জি হতে পারে। কারণ খাবারের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি একেক জনের জন্য একেক রকম। সবার যে একই খাবারে অ্যালার্জি হবে তেমনটাও নয়। অনেক শিশুর আবার ধুলাবালিতেও অ্যালার্জি হয়।

অ্যালার্জি হলে যা করবেন-

অ্যালার্জি সমস্যার সমাধানে প্রথম কাজ হলো যেসব জিনিস ও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলো পরিহার করা। ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা, বাহিরে গেলে মাস্ক পরিধান করা। পুরোনো জামাকাপড় পরার আগে অবশ্যই রোদে দেয়া বা আয়রন করে নেয়া।

যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের বাসায় পোষা প্রাণী না রাখাই ভালো। কাপড় পরিধানের ক্ষেত্রে সুতির কাপড় পরিধান করতে হবে। অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে গেলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে