বিএনপির মিছিলের ছবি দেখে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩; সময়: ৫:২৮ অপরাহ্ণ |
বিএনপির মিছিলের ছবি দেখে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : বিএনপির মিছিলের ছবি দেখে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সদস্যের বিরুদ্ধে । সোমবার (২২ মে) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন, শেখ নূর উদ্দিন আবির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, সাকিবুল হাসান বাকি। তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। তার সাথে তার কয়েকজন কর্মীও ছিল।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা জানান, যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা আমার বিভাগের বড় ভাই। তারা আমাকে ফোন দিয়ে বিভাগের সামনে যেতে বলে। আমি দূরে থাকায় আমার বিভাগের এক ছোট ভাইকে দিয়ে মোটরসাইকেল পাঠায়।

বিভাগের ভাইরা ডেকেছে তাই আমিও তাদের সাথে দেখা করতে যাই। মোটরসাইকেল থেকে নামার সাথে সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলেই তারা আমার উপর হামলা চালায়।

হাবিব নামের একজন আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বাকি ভাই আমাকে বাঁশ দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মারতে থাকে। এক পর্যায় বিভাগের ছোট ভাইরা আমাকে রিকশায় তুলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেন।

এখন তার অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশ দিয়ে পায়ের রগে পিটিয়েছে ফলে গুরুতরভবে আহত হয়েছি। এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ইমার্জেন্সিতে ভর্তি আছি।

এ বিষয় জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, বিএনপির মিছিলে যোগদান করায় তার ছবি দেখে তাকে মারধর করা হয়েছে। গত কালকের জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে কথা বলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ উপলক্ষে আজকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ছিলো। পরে বিভাগের সামনে ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্যকে পেয়ে আমার ছোট ভাইরা তাকে মারধর করেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলেন, ছাত্রলীগ নেতা বাকি সংগঠনে কোনো কাজ করে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। পদ পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে আলোচনায় আসার জন্য এমনটা করেছেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, আমরা শুনেছি সেখানে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সিদ্ধান্ত নিবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে