রয়্যাল হাসপাতালের ঘটনার তিন দিনেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩; সময়: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ |
রয়্যাল হাসপাতালের ঘটনার তিন দিনেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর লক্ষিপুর রয়্যাল হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ ও হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে মদের উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অভিযোগ উঠেছে। এতে ব্যপক সমালোচনার ঝড় বইছে মানুষের মাঝে। ঘটনার তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে হতাশ রোগী ও তার স্বজনরা।

পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে মৌখিক একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছি। এখন তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে মদ উদ্ধারের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতালটির ম্যানেজার পলাতক। তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখিত, রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দা তামান্না আখতার বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রসব বেদনা উঠলে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রয়েল হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকেল ৩ টার দিকে তকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেওয়া হয়। ওটিতে এক ঘণ্টা পার না হতেই রোগীকে বের করা হয়। তবে এসময় ওই নারীর সঙ্গে কোনো বাচ্চা ছিল না। রোগীর স্বজনরা জানতে চাইলে চিকিৎসক নিশাত আনাম বর্ণা জানান, তার পেটে কোনো বাচ্চা নেই।

অভিযোগ উঠেছে, ওই রোগীর গর্ভে দুটি সন্তান ছিল। ওটিতে নেওয়ার পর রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ইনজেকশনও দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাচ্চা প্রসব করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার সেই বাচ্চা চুরি করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ বলে অভিযোগ রোগীর। রয়্যাল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েব ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় তিন দিন হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তাদের বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

রোগী সৈয়দ তামান্না আখতার বলেন, আমি ৯ মাস ১২ দিনের অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। এর আগেও আমি ডাক্তার দেখিয়েছি। আমার দুইটা বাচ্চা ছিল। আলট্রাসনোগ্রামে দেখা গেছে, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তির পর আমাকে ওটিতে নেওয়া হয়। এর আগে আমার সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। এরপর আমাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ওটিতে নেওয়ার পর তারা আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসক ডাক্তার নিশাত আনাম বর্ণা বলেন, এদিকে দেখেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার পুরো শরীর ঝাঁকি দিচ্ছে। মনে হলো বাচ্চা টেনে বের করে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি জানতে পারলাম আমার পেটে নাকি কোনো বাচ্চা ছিল না।

তামান্না আখতার বলেন, যদি মৃত বাচ্চাও হয় সেটা আমাকে দেওয়া হোক। আমার বেবি যদি না-ই থাকে তাহলে ৯ মাস ১২ দিন আমি কী ক্যারি করলাম?

অভিযোগ অস্বীকার করে গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশাত আনাম বর্ণা বলেন, একজন নারী প্রেগন্যান্সির সব সিম্পটম নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তাকে পরীক্ষা করার আগেই তার প্রসব বেদনা ওঠে।

তিনি দাবি করেন, তারা (রোগীর স্বজনরা) কোনো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তার কাছে কোনো পরামর্শও নেওয়া হয়নি।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে