মন্ত্রী-সচিবদের চেয়ে কম বেতন পান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩; সময়: ১:০৯ অপরাহ্ণ |
মন্ত্রী-সচিবদের চেয়ে কম বেতন পান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বেশ বড় ভূমিকা পালন করেছে। আবার স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের লক্ষ্যবস্তুতেও পরিণত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আর এই পরিস্থিতিতে নতুন যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে অনেকেরই চোঁখ কপালে উঠবে। আর তা হচ্ছে- প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বেতন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সচিবদের চেয়েও কম।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, ফেডারেল সচিব এবং সংসদ সদস্যদের চেয়েও বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল দেশটির পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির কাছে জমা দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এই খবর সামনে এনেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি প্রথম, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা দ্বিতীয়, প্রেসিডেন্ট তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেশটির মন্ত্রী ও ফেডারেল সচিবদের চেয়েও কম বেতন পেয়ে থাকেন।

পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নূর খান কমিটির সদস্যদের জানান, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বেতন যেখানে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫০ পাকিস্তানি রুপি সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেতন পান ২ লাখ ১ হাজার ৫৭৪ রুপি। একই সময়ে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বেতন পান ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৯ রুপি।

আর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেতন ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১১ রুপি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বেতন পান ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২৫ রুপি। অন্যদিকে পাকিস্তানের একজন সংসদ সদস্য বেতন পান ১ লাখ ৮৮ হাজার রুপি এবং ২২তম গ্রেডের একজন অফিসার বেতন পান ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৫ রুপি।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার গত মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ আদালতের গত ১০ বছরের বেশি সময়ের ব্যয়ের অডিটের জন্য পিএসি’র সামনে উপস্থিত হননি। কমিটি আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে তাকে আবারও তলব করেছে এবং হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

এছাড়া কমিটির সদস্যরা রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও খবরে জানা গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে