তানোরে ভুল চিকিৎসায় ২ গরুর মৃত্যু, ১৩ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩; সময়: ৭:০৪ অপরাহ্ণ |
তানোরে ভুল চিকিৎসায় ২ গরুর মৃত্যু, ১৩ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা
সাইদ সাজু, তানোর : রাজশাহীর তানোরে ভূয়া ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে গাভীর মালিক বিচারের আসায় দ্বারেদ্বারে  ঘুরলেও ভূয়া চিকিৎসক মামুনুর রশিদ দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ মৃত গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরামের। এতে করে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওয়াসিমের পরিবার। কিন্তু রহস্য জনক কারনে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কিছুই করছেন বলে দাবি অভিযোগ কারীর।

এমন কি এঘটনায় আমাদের রাজশাহী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। এক প্রকার বাধ্য হয়ে আগামী রবিবারের দিকে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান গাভীর মালিক।

জানা গেছে,   উপজেলার কামারগাঁ ইউপির জমশেদপুর গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেনের পুত্র ওয়াসিম আকরামের দুটি গাভীর খুরা রোগ হয়।  এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রজেক্টে কর্মরত মামুনুর রশিদ কে ডাকেন। সে গরু দেখেই ১০-১২ টির মত ইনজেকশন পুষ করে। সাথে সাথেই একটি গাভী মারা যায়। তখন চিকিৎসক মামুন দ্রুত সটকে পড়েন। পরের দিন আরেকটি গাভী মারা যায়। এঘটনায় চলতি মাসের ৩ তারিখে গাভীর মালিক বাদি হয়ে মামুনকে বিবাদী করে ইউএনও, ওসি ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।  লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা রা। দুটি গাভী মেরে ফেলেও দেদারসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন মামুন। অপর দিকে জীবনের শেষ সম্বল গাভী মৃত্যুর পর থেকে হাতাশায় ভুগছেন মালিক।
গাভীর মালিক ওয়াসিম আকরাম বলেন, মামুনুর রশিদ নিজেকে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে গাভী দুটির খুরা রোগ হয়। আমি রাসেল নামের একজনকে বললে তার মারফতে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে সন্ধ্যার দিকে মামুন এসেই কোনকিছু না দেখে ১০-১২টির মত ইনজেকশন পুষ করে। তার সামনেই একটি গাভী মারা যায় এবং পরের দিন আরেকটি মারা যায়। দুটি গাভীর পেটেই বাচ্চা ছিল। এতে করে নিম্মে হলেও আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আমি আগামী রবিবারে আদালতে মামলা দায়ের করব।
প্রাণী সম্পদ দপ্তরের লাইভস্টক ফিল্ড এসিসটেন্ট( এম,এফ,এ) প্রজেক্টে কর্মরত  মামুনুর রশিদ বলেন, দুটি গাভী অসুস্থ ছিল। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মারা গেছে এজন্য আমার উপর দায় চাপানো হচ্ছে । যদি ভালো হত তাহলে কিছুই হত না। আমার চিকিৎসায় মরেছে কিভাবে প্রমান করবে, অন্য কারনেও তো মরতে পারে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা: সুমন মিয়া জানান, আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামুনুর রশিদ প্রজেক্টে কর্মরত সে কি চিকিৎসা দিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার চিকিৎসা দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। প্রসঙ্গত গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে ভূল চিকিৎসায় দুটি গাভী মারা যায়।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে