আশ্রয়কেন্দ্রে চার লাখ মানুষ

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩; সময়: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ |
আশ্রয়কেন্দ্রে চার লাখ মানুষ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রম করার মধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে চার লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রোববার জানানো হয়েছে, উপকূলীয় ১৪ জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। ইতোমধ্যে সেখানে চার লাখ পাঁচ হাজার ৪২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ২৩ হাজার ২৭টি।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র রোববার সকাল নটা নাগাদ কক্সবাজার উপকূল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছিল। তবে ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হওয়ার পর সকাল থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছেন। কক্সবাজারে প্রায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখের বেশী লোক আশ্রয় নিতে পারবে।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জেলার উপকূলীয় এলাকায় রেড ক্রিসেন্টের ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ৩২৫টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শনিবারই কক্সবাজার জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় এনেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরসহ উপকূলীয় আরও ১১ জেলাকে রাখা হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। বাকি ১০ জেলায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে