ঘূর্ণিঝড়ে কোন সংকেতের অর্থ কী?

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩; সময়: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
ঘূর্ণিঝড়ে কোন সংকেতের অর্থ কী?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সমুদ্রে ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হলে আবহাওয়া অফিস থেকে উপকূলের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন সংকেত পাঠিয়ে সর্তক করা হয়। ঝড়ের সময় আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া সমুদ্রের ক্ষেত্রে ১১টি সংকেত নির্ধারিত আছে। যা দিয়ে বোঝানো হয় বিপদ, মহাবিপদ ও ঝড়ের ভয়াবহতার কথা।

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত-

এই সংকেতের অর্থ হলো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ওই ঝড়ো হাওয়া সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত-

গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এই ঝড়ে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। তবে সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় অঞ্চল এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না। তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত-

বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং একটানা ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘূর্ণি বাতাস বইতে পারে। সে কারণে বন্দর ও বন্দরে নোঙ্গর ফেলা জাহাজগুলো দুর্যোগে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত-

বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি এখনও হয়নি।

৫ নম্বর বিপদ সংকেত-

বন্দর ছোট বা মাঝারি ধরনের এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬ নম্বর বিপদ সংকেত-

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেত-

বন্দর মাঝারি তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ওপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত-

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত-

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিমি বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। এই বেলায় প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত-

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিমি বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের ওপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।

১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত-

আবহাওয়া বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে