‘আর্তমানবতার সেবায়’ রেড ক্রিসেন্টের পাশে থাকার আহ্বান

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩; সময়: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ |
‘আর্তমানবতার সেবায়’ রেড ক্রিসেন্টের পাশে থাকার আহ্বান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস আজ। বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে সারা দেশে একযোগে দিবসটি পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

শান্তিপূর্ণ ও মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতি ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘আমরা সকল কাজই আন্তরিকভাবে করি’।

এছাড়া আর্তমানবতার সেবায় এ কাজকে এগিয়ে নিতে সমাজের বিত্তবানদের রেড ক্রিসেন্টের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (৮ মে) সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পতাকা, রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

সংস্থাটি জানায়, ১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।

মহান এ ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে প্রতিবছর তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয় দিবসটি।

রেড ক্রস দিবসের এসব আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান নূর-উর রহমান।

দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এবারের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের অবদানের কথা, বিশ্বের বিপদাপন্ন ও অসহায় মানুষের জন্য তাদের ত্যাগ ও ভালোবাসার কথা।’

এর আগে পতাকা উত্তোলন শেষে সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, ‘রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা বিশ্বের ১৯২টিরও বেশি দেশে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।’

এসময় সোসাইটির সম্মানিত বোর্ড সদস্য আরমা দত্ত, রাজিয়া সুলতানা লুনা, মোহাম্মদ আতিকুল হক শামীম, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ সোসাইটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে রেড ক্রিসেন্ট যুব নীতিমালার মোড়ক উন্মোচন ও বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ডিজাস্টার রিপোর্ট ২০২২ প্রকাশ করা হয়।

সোসাইটির তহবিল সংগ্রহ মাস হিসেবে ৮ মে থেকে ৮ জুন ঘোষণা দেওয়া হয়। সে সঙ্গে আর্তমানবতার সেবায় দেশের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের রেড ক্রিসেন্টের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

বিশেষ এ দিবস উপলক্ষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেষ হয়।

সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ সারা দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

এছাড়া ফুল বিতরণ করা হয় রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের রোগীদের মাঝে। জাতীয় সদর দপ্তরের পাশাপাশি সারা দেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ইউনিট তাদের নিজ নিজ আয়োজনে উদযাপন করছে দিবসটি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশ (পিও-২৬) জারি করেন। ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে।

এরপর ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে রেড ক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে।

১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে