রাজশাহীতে জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩; সময়: ৭:২৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সাহেববাজার স্বর্ণকার পট্রির আলিফ লাম মিম জুয়েলার্সের মালিক গোলাম মুর্তুজা বিরুদ্ধে ব্যাংকের চেক ও তিনশো টাকার ননজুডিশিয়াল স্টেম্পে লিখা পড়া করে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে এক মসজিদের ইমামের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার নগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার মুস্তাক আহাম্মেদ বাদি হয়ে রাজশাহীর আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেছেন। বর্তমানে মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইমাম মুস্তাক আহাম্মেদ।

জানা গেছে, গত ২০২০ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সাহেব বাজার স্বর্ণকার পট্রির আলিফ লাম মিম জুয়েলার্সের মালিক ও রাজশাহীর কেশরহাট হরিদাগাছি গ্রামের এজাহারুল ইসলামের ছেলে গোলাম মুর্তুজা নগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার মুস্তাক আহাম্মেদের কাছে থেকে ব্যবসার জন্য এক বছরের জন্য ৩ লক্ষ টাকা নেয়। এবং মুস্তাক আহাম্মেদ তার দেয়া টাকা বিশেষ প্রয়োজনে চাইলে ৩ মাসের মধ্য দিতে বাধ্য থাকবে বলে তিনশো টাকার ননজুডিশিয়াল স্টেম্পে লিখা পড়া করে দেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেই সাথে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে ইমাম মুস্তাক আহাম্মেদকে। ব্যাংকের চেকে তারিখ দেয়া হয় ২৬ আগষ্ট ২০২১।

টাকা দেয়ার এক বছর সময় পার হলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে মুস্তাক আহাম্মেদকে দিবো দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুর্তুজা। পরে বুঝতে পারে মুর্তুজা প্রতারণা করেছে টাকা নিয়ে। নিরুপায় হয়ে রাজশাহীর আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন মুস্তাক আহাম্মেদ প্রতারক মুর্তুজার বিরুদ্ধে। মামলাটি চলমান রয়েছে আদালতে। খুব দ্রুত ওই মামলার রায় হবে বলে জানান মামলার বাদি মুস্তাক আহাম্মেদ। সাম্প্রতিক মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদি মুস্তাক আহাম্মেদ কে। এ বিষয় বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুুতি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানান মুস্তাক আহাম্মেদ।

মুস্তাক আহাম্মেদ জানান, সহজ সরল বিশ্বাসে ও সম্পর্কের খাতিরে সাহেব বাজার স্বর্ণকার পট্রির আলিফ লাম মিম জুয়েলার্সের মালিক গোলাম মুর্তুজ কে ব্যবসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেই এক বছরের জন্য। বিনিময়ে এক বছর পরে ব্যবসার লাভসহ সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা আমাকে। সে একটি ব্যাংকের চেক প্রদান করে আমাকে ৫ লাখ টাকার এবং লিখাপাড়া করা হয় ননজুডিসিয়াল স্টেম্পে।

তিনি আরো বলেন, টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে টাকা দিবো দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করে র্দীঘদিন যাবত। পরে বুঝতে পরি সে প্রতারণা করেছে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে। নিরুপায় হয়ে রাজশাহীর আদালতে চেক ডিজেনার করে মামলা করি। দ্রুত মামলার রায় হবে এই সুযোগে সেই মিমাংসা করতে ও মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে। এমন প্রতারণার শিকার কেউ যে না হয় ও প্রতারক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করছি।

এ ঘটনায় আলিফ লাম মিম জুয়েলার্সের মালিক গোলাম মুর্তুজা মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতে মামলা করেছে আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। তবে হুমকি দেয়ার বিষয় ও প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয় আরএমপি মিডিয়া মুখপাত্র বলেন, আদালতে যে হেতু মামলা আছে। সেই মামলার রায় আদালত দিবেন। হুমকি দেয়ার বিষয় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে