যে কারণে মে মাসে বড় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩; সময়: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ |
যে কারণে মে মাসে বড় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দিন দিন মে মাস যেন দুর্যোগের মাস হয়ে উঠছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার আগমন বার্তা শোনার পর থেকেই মে মাসের গত কয়েক বছরের ঘূর্ণিঝড়ের পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

২০২০ সালের আম্ফান থেকে শুরু করে পর পর ২০২১ এবং ২০২২ সালে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।

এ বছরে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ৬ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি ধীরে ধীরে রূপ নিতে শুরু করবে। প্রথমে নিম্নচাপের আকারে থাকলেও সেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মে মাসকে এক প্রকার ঘূর্ণিঝড়ের মাস বলা যায়। ২০২০ সাল থেকে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে মে মাসে। এবং সেগুলি তাণ্ডব চালিয়েছে বাংলাদেশে।

২০২০ সালে আম্ফানের দাপটে ছিন্নভিন্ন হয়েছিল উপকূলবর্তী জনপদ। তার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ২০২১ সালে হাজির হয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এরপর ২০২২ সালে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় অশনি। এবারও মে মাসে তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ৬ তারিখ থেকে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হবে সেটি ৭-৮ তারিখের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপরেই এগোতে থাকবে উপকূলের দিকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ১০ অথবা ১১ তারিখ সেটি আঘাত হানবে।

মে মাসে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ মাসে তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করায় বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। তার সঙ্গে একাধিক কারণ কাজ করে যা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করে। সেকারণেই মে মাসে প্রতিবছরই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথ কোন দিকে

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিকে যাবে সেটা বায়ুমণ্ডলের একাধিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সেই পরিস্থিতিগুলোর পরিবর্তনও হয়। তাই গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সময় লাগে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আবহাওয়ার ইউরোপিয়ান মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

তবে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল বলছে, ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাসের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে।

এই সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র স্থলভাগে আঘাতের সময় প্রায় ১ দিন এগিয়েছে। তবে দুটি মডেলের মধ্যে স্থলভাগে আঘাতের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা রয়েছে, এখন যা প্রতিদিন কমতে থাকবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে