সংকট কাটাতে কেনা হবে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩; সময়: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ |
সংকট কাটাতে কেনা হবে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের বাজারে সরবরাহের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানি করবে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে তুরস্ক থেকে প্রায় ৮৩ টাকা কেজি দরে কেনা হবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি। প্রতি কেজি চিনি কিনতে আগের তুলনায় সরকারের এবার ৬ টাকার মতো খরচ কম হচ্ছে। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এটিসহ মোট ১৪টি ক্রয়সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের স্মারটেক ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ বাড়ায় একটি ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের কিছু পূর্ত কাজের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এজন্য ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩০১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালে পদ্মা সেতু এবং এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

যদিও ২০১৬ সালে এ-সম্পর্কিত প্রকল্প নেওয়া হয়। শুরুতে সরকারের পরিকল্পনা ছিল অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে একই দিন রেলও চালু করার। কিন্তু রেল প্রকল্পের অবকাঠামোসহ অন্যান্য কাজ পিছিয়ে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানোর পাশাপাশি স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ বাড়ানোর পরে এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।

গতকালের মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে তিন কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার বেশি। আর যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫১৬ কোটি টাকার বেশি। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একসঙ্গে সাত লটে মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার টন ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, ফসফরিক এসিড এবং মিউরেট অব পটাশ সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, কানাডা, তিউনিসিয়া এবং মরক্কো থেকে এ সার কেনা হবে। এ ছাড়া পৃথক লটে সৌদি আরব থেকে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১০৫ কোটি টাকার মতো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে