নিউ টাইমস গ্রুপের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩; সময়: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ |
নিউ টাইমস গ্রুপের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। তিন লাখে পিএইচডি, ৫ লাখে এফসিপিএস! লাখ টাকায় মিলছে সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা ও ভুয়া ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকের লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে একটি গণমাধ্যমে অপপ্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজশাহীর নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেন।

সোমবার (১ মে ) এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, প্রকাশিত সংবাদগুলোতে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করা জন্য ও প্রতিহিংসা মূলক একটি চক্র সংবাদে কিছু অসত্য তথ্য সরবরাহ ও আমার বিরুদ্ধে কৌশলে মিথ্যা বক্তব্য নিয়ে তা পরিকল্পিত ভাবে প্রচার করা হয়েছে। তাদের দেখানো ডকুমেন্টস গুলো মিথ্যা বানোয়াট এবং বিভিন্ন স্বাক্ষী করার জন্য টাকা দিয়ে প্রলোভিত করা হয়েছে বলে প্রমান আছে দাবি রনি রাজের।

গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনে দুই পর্বে সংবাদগুলো প্রচার করা হয়। এতে তার প্রতিষ্ঠানের সুমান ক্ষুন্ন হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে রনি রাজ হোসেন বলেন, ‘ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং রেস্টুরেন্টের ভাড়া ও কর্মরতদের বেতন না দেয়া’র যে তথ্য সংবাদে প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এছাড়াও ‘প্রতারণার টাকায় নিউ টাইমস গ্রুপের চেয়ারম্যান অল্প সময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটিপতি হয়েছেন’ এ তথ্যও হাস্যকর। সাম্প্রতিক টেলিভিশনের প্রচারিত সংবাদে যে সকল বিষয় আমার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে ওই সকল ঘটনা কোনটার সাথেই আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। যাদের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে এদের কারো সাথেই আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে বিপদে ফেলার প্রচেষ্টার প্রমান এবং চাঁদাবাজীর প্রমান কল রেকডিং এবং স্বাক্ষীদের জবান বন্দী রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে টিভিতে বক্তব্য দিতে প্ররোচিত করেছিলো আরো বেশ কিছু মানুষকে। কিন্তু তারা সাংবাদিক এবং কম্পানির সাবেক কর্মচারি কথা শোনেনি। মিথ্যা কথা বলতে রাজি হয় নি। এদের মধ্য রয়েছেন, হীরা, গোলাম রাহমানী মঞ্জু, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নূর, মালিহা তাবাসসুম এবং আরো অনেক কে।

সংবাদে আরো বলা হয়, রনি রাজ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যদি তাই হতো তাহলে তার ব্যাংক ব্যালেন্স, গাড়ী, বাড়ী থাকতো। এসব কিছুই নেই তার। সে একটি ছোট চাকরি করে জিবিকা নির্বাহ করেন। এগুলো তদন্ত করে দেখলে প্রমান পাওয়া যাবে। সে নিজেই ডক্টরেট ডিগ্রি ধারী নই, সে কিভাবে অন্যকে ডক্টরেট করে দিতে পারে। আজিজ কো অপারেটিভ ব্যাংকের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ তাকে ব্যাংকের মালিক বলা হয় প্রতিবেদনে। এসব ভিত্তি হীন মন গড়া খবর ছাড়া আর কিছুই নয়। কিভাবে পূর্ণ তদন্ত ছাড়া একটি জনপ্রিয় টিভিতে এমন সংবাদ প্রচার করা হয় বলে দাবি করেন রনি রাজ।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আক্তারুজ্জামান প্রিন্সকে সকল নিয়ম কানুন মেনে ২০২০ সালে ২ ফেব্রুায়ারি গ্রুপের স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে গত ২০২০ সালে ৮ আগস্ট প্রিন্স নিউ টাইমস গ্রুপের সিইও পদে যোগদান করেন। তাকে নিয়োগ দেয়ার পর বিকাশ ও নগদ টাকায় তার সকল বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়। এর পর তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে বলা হয়। সে নিজ ইচ্ছায় ২০২১ সালে ২ সেপ্টেম্বর গ্রুপের মেইলে চেয়ারম্যান বরাবর চাকরি থেকে অব্যহতি পত্র পাঠান। অব্যহতি পত্রে উল্লেখ করেন তার সাথে গ্রুপের কোন দেনা পাওনা নেই। চাকরি থেকে অব্যহতি নেয়ার প্রায় এক বছর পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আক্তারুজ্জামান প্রিন্স রাজশাহীর আদালত মামলা করেছে। মামলায় আমাকে ছাড়াও আমার স্ত্রীকে এবং ব্যবসায়ী পার্টনার নুরুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত ভার প্রদান করলে পিবিআই তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা বলে বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে গত ২০২২ সালে ৩ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। তার পর থেকে সে বিভিন্ন ভাবে আমার বিরুদ্ধে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য নিয়ে তা নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনে সংবাদে প্রচার করে। এর মধ্যে লতিফ নামের একজনের বক্তব্য প্রচার করা হয়। তাকে শিখাই দিয়েছিলো কি বলতে হবে, সেই কথাগুলো বলাই নিয়েছে। এছাড়া আরো কিছু ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদে বক্তব্য নিয়েছে ভুল বুঝিয়ে আমাকে ফাঁসাতে। তাদের স্বীকারউক্তি মুলক অডিও রেকোডিং রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এমনকি আমার স্ত্রীর ছবিসহ ফেসবুকে ভাইরাল করে প্রিন্স। তা থেকে বাঁচতে মিথ্যা মামলার করে সে আমার বিরুদ্ধে। আমি তাকে আমার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছিলাম আমার খেয়ে আমার ম্যানেজার হয়ে সে আমার স্ত্রীর প্রতি বহুবার অশালীন আচরন করার চেষ্টা করেছে। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জজ বা সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে ব্লাকমেইল করার চেস্টা করে তার প্রমান রয়েছে। প্রিন্সের বিরুদ্ধে করা ৫ টি জিডি আমার। তার বিরুদ্ধে ৪ টা মামলা, পাবনা, রাজশাহী, ঢাকাতে রয়েছে। ঢাকার এক গার্মেন্টস মালিক প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা করে ও তার চার্জশীট এবং আদালতের সমন জারি করা হয়েছে। প্রিন্স একজন টাউট বার্টপার প্রকৃতির যুবক। এক বছর নয় মাস আমার প্রতিষ্ঠানে সে চাকরি করেছে। এরই মধ্যে তিনি দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাত করে। এ ধরণের টাউট ব্যক্তিদের সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই করে প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ রইল। আর প্রিন্সের এই ব্লাকমেইলের বিষয়টা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তার নামে পুলিশ কমিশনার অফিসে এবং র্যাবে অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখিত, প্রতারক প্রিন্সের কম করে হলেও ১০০ ফেসবুক পেজ, আইডি এবং গ্রুপ রয়েছে যা দিয়ে মূলত সে ব্লাকমেইল করতো। ইদানিং তার প্রতারনার অভিনব কৌশল হচ্ছে গণমাধ্যম গুলোকে বিভ্রান্ত করে মানুষকে নিউজের কথা বলে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করা যা আমার সাথে করেছে।এসব প্রতিবাদ করায় রনি রাজ হোসাইনকে বিভিন্ন মহল থেকে সে হত্যার হুমকি ও দিয়েছে তার প্রমান ও রয়েছে। প্রচারিত সংবাদের নেপথ্যে আক্তারুজ্জামান প্রিন্স। সে লাবনী নামক এক হিন্দু মেয়েকে প্রলোভিত করে বিয়ে করে তাকে প্রতারিত করে ছেরে দেয়। পরে পালিয়ে বিয়ে করে তানোরের নুসরাত জাহান রুপা নামের আর এক মেয়েকে। ৬ মাস পূর্বের ষড়যন্ত্র মূলক রনি রাজের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর নিউজটির পিছনে আক্তারুজ্জামান প্রিন্স রয়েছে। নিউজ টুয়েন্টিফোরের নিউজে পরিচয় গোপন যে ব্যাক্তি বক্তব্য দিয়েছে এবং স্বাক্ষী হিসেবে যাকে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ব্লাকমেইলার আক্তারুজ্জামান প্রিন্স।

সংবাদে আমার বিরুদ্ধে যে সব সার্টিফিকেটের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ঠিক না, ভূয়া সেগুলো তার আগে যাচায় করে তারপর প্রতিবেদন করা উচিৎ ছিলো। সেখানে বলা হয়েছে, রনি শিক্ষক পরিচয় দিয়েছে। রনি শিক্ষক তার স্কুলের কর্মচারী ছিলো আক্তারুজ্জামান প্রিন্স এবং একটি ভিডিও দেখানো হচ্ছে তা নিউ টাইমস ল্যাবরেটরী স্কুলের করোনাকালীন সময়ে বেতন প্রদানের সময়ের। অপরদিকে, রনিকে মানবাধিকার কর্মী বলা হয়। সে ১ বছর মেয়াদকালীন আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের রাজশাহী জেলা সভাপতি ছিলেন। ভালো বিষয় আড়াল করে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আমি এর ঘোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অপরদিকে, ফেসবুকে রনির স্ত্রীর ছবি ছড়ানো এবং তার নামে আজে বাজে নিউজ ব্যাক্তিগত পেজ এবং সাইটে পোস্ট করে বুস্ট করা এবং সেগুলো প্রিন্ট করে রনির বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন এবং কর্মস্থলে কুরিয়ার, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জি ডি এবং পরবর্তীতে মামলা করা হয়েছে প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৪ মাস পূর্বে। খবরে উল্লেখিত ৩ শতাধিক যুবক নিঃস্ব, এই তিন শতাধিক যুবক কোথায় এবং কারা যথাযথ প্রমানসহ তাদের হাজির করা হোক বলে দাবি রনির।

রনি রাজ আরো বলেন, আমি কোথাও কখনো পরিচয় দেইনি আমি শিল্পপতি। আমার স্থাবর অস্থাবর কোন সম্পতি নেই, আমি সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। তারা প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ করেছে আমার বিরুদ্ধে। সংবাদে তারা কখনো আমাকে শিল্পপতি, কখনো রাইস মিলের মালিক বানিয়েছে। নিউ টাইমস্ নামে আমার একটা স্কুল এবং কোচিং সেন্টার ছিলো। পরবর্তীতে অনেক কষ্ট করে, ঋন করে জমানো টাকা এবং বন্ধুদের সহায়তায় একটি রেস্টুরেন্টে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ও আক্তারুজ্জামান প্রিন্স নিজ হাতে ধ্বংস করেছে। অথচ যাচাই বাচাই না করে মনগড়া প্রতিবেদনে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেছেন, এগুলো যে সত্য বা আমি বলেছি তার বিন্দু পরিমান কোন প্রমান নেই। পরিচয় গোপন করে যে লোকটির বক্তব্য দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তের মূল নায়ক সে আক্তারুজ্জামান প্রিন্স। তার সমস্ত কথাই মিথ্যে এবং হয়রানিমূলক। আমার রেস্টুরেন্টের বিল্ডিং মালিক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য নয়। আমি প্রয়োজনে তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হবো। আমার রেস্টুরেন্ট দখলের উদ্দেশ্য অবৈধ ভাবে তালা মেরে রেখেছে একটি মহল। এটার বিরুদ্ধে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং সংবাদে মোস্তাকিম নামক যে লোক বক্তব্য দিয়েছে, তাকে আমি কখনোই দেখিনি এবং চিনিনা। তার সাথে আমার আর্থিক কোন লেনদেন নেই ৷

রনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার কারা হয়েছে। এমন সংবাদ প্রচার করে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি এবং উন্নয়ন কে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। তা না হলে, তারা কি করে বলতে পারে বোর্ড সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায়। একটি সর্বোচ্চ মানের সরকারী প্রতিষ্ঠানকে তার সন্মান কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এসবের উত্তর কে দিবে? সংবাদে কথায় কথায় আমাকে প্রতারক বলা হয়েছে। যা আমাকে সামাজিক আর্থিক এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কোন আদালতে প্রমানিতো হয়নি যে আমি প্রতারক। আমার নামে বাংলাদেশের কোথাও কোন প্রতারনা মামলা নেই। আক্তারুজ্জামান প্রিন্স একটি মিথ্যা মামলা করেছিলো তা পি বি আই তদন্তে মিথ্যা মামলা বলে প্রমানিত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী বা অপপ্রচার কারীদের বিরুদ্ধে আমি দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার প্রস্তুুতি চলছে। –বানিজ্যিক

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে